খাগড়াছড়িতে ধসের আশঙ্কায় নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং
প্রকাশিত : ৭ আগস্ট ২০২৩
খাগড়াছড়িতে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার কারণে ঝুঁকিতে থাকা বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। গত তিনদিন ধরে পার্বত্য এ জেলায় থেমে থেমে মাঝারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা বেড়েছে, এমনটাই বলছে প্রশাসন। স্থানীয়দের সচেতন ও সতর্ক করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে আজ রোববার (৬ আগস্ট) জানান জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান।
গতকাল শনিবার (৫ আগস্ট) জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অতিবৃষ্টি হয়। ওই সময় পাহাড়ি ঢল ও বন্যার আশঙ্কায় মাইকিং শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি তথ্য অফিসের মাধ্যমে সড়কে প্রচার কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় শালবাগান, কলাবাগান, কুমিল্লাটিলা, সবুজবাগ এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে ও নিম্নাঞ্চলে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সচেতন ও সতর্ক করা হয়েছে।
পাহাড়ি ঢলে শহরের বুক চিরে প্রবাহিত চেঙ্গী নদীর পানি বাড়ে। তলিয়ে যায় নদী তীরবর্তী গ্রাম ও ঘরবাড়ি। এ সময় অনেকে ঝুঁকি নিয়ে স্রোতে ভেসে আসা গাছ-গাছালি ও লাকড়ি ধরতে নামেন। তাতে প্রতিবছরই মারা যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। এবার নদী তীরবর্তী এলাকায়ও সচেতনমূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, স্থানীয় জনগণের ক্ষয়ক্ষতি ও জানমাল রক্ষায় সচেতন করতে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়েছে। প্রতিবছরই বর্ষার মৌসুমে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে। এছাড়া পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীর পানি বাড়ে। সে সময়টায় মানুষজন যাতে ঝুঁকি এড়িয়ে চলে সেই বিষয়ে সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।
আরো জানান, ঝড়ে শহরের জেল গেট ও নতুনকুঁড়ি এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গাছ কেটে সরিয়ে নিয়েছে। জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান জানান, গত কয়েকদিনে পাশের দুই জেলা থেকে খাগড়াছড়িতে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কাও কম। তারপরও দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র।
টানা বৃষ্টিপাতে সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মাথায় রেখে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়ক বিভাগের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। বৃষ্টির সময় পাহাড়ে চলাচলকারী যানবাহনকে গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছেন খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান। তথ্য অফিস সুত্র জানিয়েছে, জেলা সদরে ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত সেখানে আশ্রয় নিতে কেউ যাননি।