ঘূর্ণিঝড় মোখা’র আতঙ্কে বাতিল হচ্ছে কুয়াকাটার বৃহস্পতিবার-শুক্রবারের রুম বুকিং
প্রকাশিত : ১২ মে ২০২৩
পটুয়াখালী কুয়াকাটায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র আতঙ্কে পর্যটক কমছে, এমনটাই ধারণা করছে কুয়াকাটা পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ১৮ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতে সপ্তাহের সব দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার হাজারো পর্যটকে মুখরিত থাকে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলা ভূমির সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটায়।
তবে ১১,০৫,২০২৩ ( বৃহস্পতিবার) সমুদ্র সৈকতের রুপ ভিন্ন, পুরো সমুদ্র সৈকটটি ঘুরেও ২০% পর্যটকের দেখা মেলেনি। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র আতঙ্কে ও প্রচন্ড রোদ ও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রমণের স্বাদ ভুলে গেছে পর্যটকরা, এমনটাই ধারণা করছেন, ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুয়াকাটা কুটুম এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ হোসাইন আমির।
কুয়াকাটার আবাসিক হোটেল কানসাইনের ম্যানেজার জুয়েল ফরাজী জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে ৫০% রুম বুকিং এর সারা ছিল, তবে ঘূর্ণিঝড় মোখার আতঙ্কে সব বুকিং বাতিল হয়েছে। আমার মত অধিকাংশ হোটেলেই এই ঘটনা ঘটেছে।
মুঠোফোনে পর্যটক এর সাথে কথা বলে জানা যায়, কুয়াকাটা ভ্রমনে আসার সকল পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছিল, এবং রুমও বুকিং দিয়েছিলেন তবে ঘূর্ণিঝড়ের খবরে পুরো ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৫) জানানো হয়।
অবশেষে আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা’য় রূপ নিয়েছে বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপ। এজন্য সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৫) এ তথ্য জানানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। এরপর এটি ১৩ মে (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে ১৪ মে (রোববার) সকালের মধ্যে কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সবদিক থেকে সরকার প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে পারবো।
আর এদিকে কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসায়ীরা ধারনা করছেন, ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে যে ক্ষতির মুখে পড়ছে এই ক্ষতিপুষে উঠতে অনেক সময় লাগতে পারে। ঘূর্ণিঝড় শেষে আবারো পর্যটকে ভরপুর হয়ে উঠতে কুয়াকাটা।