বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস পালিত
প্রকাশিত : ১২ ডিসেম্বর ২০২০
আজ সকালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ‘এখন সময় স্বাধীনতার শত্রুদের চিরতরে নির্মূল করা’-শীর্ষক এক আলোচনা সভা রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মতিউর রহমান লাল্টুর সঞ্চালনায় ও মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তী মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম) এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশনেন-বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য-মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল-মামুন, ডেপুটি রেজিস্টার, বিএসএমএমইউ, ঢাকা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. মোঃ হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রোভিসি, বুয়েট, ড. লিয়াকত মোড়ল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, গণিত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যাপক নেছার হোসেন, ডীন, চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মিসেস শামস্বাদ নওরীন, সহকারী অধ্যাপক, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সহ দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীগণ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। আলোচনায় অংশ নিয়ে শফিকুর রহমান এমপি বলেন, পদ্মাসেতু আজ স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। শতবাধা অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও সাহসী নেতৃত্বের কারণেই আজ এই সেতু দৃশ্যমান। তিনি এই সেতুর নাম করণ আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করার ও সেতুর দুই পাশে তাঁর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠার জোর দাবি করেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা। মৌলবাদী, ধর্মান্ধ-উগ্র কয়েকটি ইসলামিক সংগঠন বিজয়ের এই মহান মাসে জাতির পিতার ভাস্কর্য অবমাননা করেছে। অথচ এই ধর্মান্ধ-উগ্র ইসলামিক সংগঠন দেশে বিভিন্ন স্থানে জেনারেল জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য অবমাননা ও ভাংচুর করতে তারা ভয়পায়। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু চিরদিন বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। তাঁর আদর্শ ও সংগ্রামী জীবন আমাদের কাছে চির ভাস্কর হয়ে থাকবে। ভাস্কর্য বিতর্ক তুলে হেফাজত ইসলামী ও মৌলবাদী-উগ্র সংগঠন গুলো ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে দেশে অশান্তি সৃষ্টির মাধ্যমে সরকাররে পতন ঘটাতে চাই। আব্দুল মতিন ভূঁইয়া বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও স্বাধীনতার শত্রুদের হুংকার শুনছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনদেশে অবশ্যই লজ্জার। আজ সময় এসেছে স্বাধীনতার শত্রুদের চিরতরে নির্মূল করা। আসুন আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে নিরাপদ ও সুসংহত করি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ি। সভাপতির বক্তব্যে মাহবুব উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম) বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। পাকহানাদার বাহিনী এদেশ স্বাধীন হলেও যাতে মেধাশূন্য দেশ হয়, সেই জন্যই তারা বেছে বেছে এদেশের সেরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তিনি স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং মৌলবাদী, উগ্র-জঙ্গীবাদী সংগঠন গুলোর বিষদাঁত ভেঙ্গে দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার আহ্বায়ন জানান। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম, এস এম লুৎফর রহমান, খন্দকার নজরুল ইসলাম, রেহান ছোবাহান, আবুল হোসেন, জালাল উদ্দিন আহমেদ তুহিন প্রমুখ।
সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য ডা. এস. এ মালেক। ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন ।
সভার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর যোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।