রাফায় সীমা লঙ্ঘন করেনি ইসরায়েল: বলছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ৩০ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা নগরীতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে ইসরায়েলের ট্যাংক। প্রতিনিয়তই বিমান হামলায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের তাঁবু শিবির জ্বলেপুড়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, রাফায় ইসরায়েলের হামলা সীমা লঙ্ঘন করেনি। হোয়াইট হাউজ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে না যে, রাফায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য সীমা (রেড লাইন) অতিক্রম করার মতো ‘বড় ধরনের কোনও স্থল অভিযান’; যার প্রেক্ষপটে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের নীতি পরিবর্তন করতে হতে পারে। ইসরায়েলের ট্যাংক মঙ্গলবার রাফার কেন্দ্রস্থল দখলে নেওয়ার কয়েকঘণ্টা পর হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কারবি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এর আগে বলেছিলেন, ইসরায়েল রাফার জনাকীর্ণ এলাকায় প্রবেশ করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ সীমিত করে দেবে। রাফায় এখনও হাজার হাজার উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়ে আছে বলে ধারণা করা হয়। গত রোববার রাফার একটি আশ্রয়শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়। তাদের বেশির ভাগই ছিল নারী, শিশু ও বয়স্ক মানুষ। সেদিনের এই হামলা নিয়েও জন কারবিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। এর জবাবে হামলার ঘটনার ছবিগুলোর বর্ণনায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “খুবই হৃদয়বিদারক আর ভয়ঙ্কর। এই সংঘাতের পরিণতিতে কোনও নিরীহ মানুষের প্রাণহানি হওয়া উচিত নয়।”

রাফায় ইসরায়েলের হামলার প্রসঙ্গে বাইডেন যে সীমার কথা বলেছিলেন তা এ হামলায় লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করা হলে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র কারবি বলেন, আমরা রাফায় কোনও বড় ধরনের স্থল অভিযান সমর্থন করি না, করবও না। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তেমনটি যদি ঘটে তাহলে তাকে ইসরায়েলকে সমর্থন করে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। এ মুহূর্তে আমরা তেমন কিছু দেখছি না। আমরা তাদেরকে রাফায় ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখিনি। বিশাল ইউনিট, বিপুলসংখ্যক সেনা নিয়ে তাদেরকে সেখানে যেতে দেখিনি, স্থলপথে একাধিক নিশানার বিরুদ্ধে বড় পরিসরে সমন্বিত কোনও প্রস্তুতি নিতে দেখিনি।যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিভাগ বলেছে, তারা ওই হামলার ঘটনা ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দ্রুত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে দেখছে কিনা সেদিকে নিবিড়ভাবে লক্ষ্য রাখছে।

ইসরায়েল বলে আসছে, রাফায় অভিযান চালানো ছাড়া তারা ৭ মাসের যুদ্ধে হামাসকে পরাস্ত করতে পারবে না। সেকারণে রাফায় হামলার পরিণতিতে মানবিক বিপর্যয় নেমে আসা নিয়ে আন্তর্জাতিক সতর্কবার্তাও উপেক্ষা করেছে তারা। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) রাফার পূর্বাঞ্চলে হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করেছে গত ৬ মে। তখন থেকেই ইসরায়েলের ট্যাংক ও সেনা ধীরে ধীরে পূর্বাঞ্চলের আরও গভীরে ঢুকেছে এবং রাফার কেন্দ্রস্থল দখলে নিয়েছে। মিশর সীমান্তের ১৩ কিলোমিটার উত্তরের দিকে দিকেও অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

 

আপনার মতামত লিখুন :