শুধু টাকা ইনকাম নয়, মা হতে ভাল লাগে বলেই গর্ভ ভাড়া দেন তরুণী
প্রকাশিত : ৫ আগস্ট ২০২৩
শুধুমাত্র টাকা উপার্জনের জন্য নয় মা হতে ভাল লাগে তাই গর্ভ ভাড়া দেয়াকেই নেশা করে ফেলেছেন মার্কিন এক মা! অন্যের সন্তান গর্ভে ধারণ করার বিনিময়ে তিনি নেন ৪০ হাজার ডলার বা যা বাংলাদেশি ৪৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯০৪ টাকা। ২৬ বছর বয়সি ইয়েসেনিয়া ল্যাটোরে এখন পর্যন্ত তিনটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার মধ্যে দুই সন্তান তার নিজের। ইয়েসেনিয়া বলেছেন, যে মেয়েরা স্বাভাবিকভাবে মা হতে পারেন না, তাদের জন্যই আমার এই প্রচেষ্টা। আমি এখন পর্যন্ত তিনটি সন্তানের জন্ম দিয়েছি। তার মধ্যে দুটি আমার নিজের। আর অন্যটি এক দম্পতির।
তিনি বলেন, আমি খুব শিগগির আবারও গর্ভ ভাড়া দেয়ার পরিকল্পনা করছি। মার্কিন এ তরুণী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে নিজের এই শখের কথা জানাতেই তা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। টিকটকে তার ফলোয়ার আছে ২ লাখ ২২ হাজার ৭০০ জনের বেশি।
নিজের এই শখের কথা জানাতেই বাবা-মা হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে প্রায় শতাধিক দম্পতি যোগাযোগ করেন ইয়েসেনিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, মানুষ বুঝেছে সারোগেসি মানেই শুধু অর্থ উপার্জন নয়। অবশ্যই নিজের পরিচর্যার জন্য অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। তার বেশি কিছু নয়। আমার কাছে পরিবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেসব দম্পতি সন্তান হচ্ছে না বলে হতাশায় রয়েছেন, সেসব দম্পতির হাতে সন্তান তুলে দিতে পেরে আমি গর্বিত। ২০১৭ সালে ইয়েসিনিয়া প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। প্রথম বারের অভিজ্ঞতায় তার মা হওয়ার এই যাত্রাপথ এতটাই ভাল লেগেছিল যে, সন্তানের জন্ম দেয়াই তার শখে পরিণত হয়।
ইয়েসেনিয়া বলেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্ফীতোদর, নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের কাছে যাওয়া, শরীরের মধ্যে ধীরে ধীরে ভ্রূণের বেড়ে ওঠা এবং তার অস্তিত্ব অনুভব করার যে আনন্দ, সেই সব কিছু আমার ভাল লাগে। ২০১৮ সালে আবার ইয়েসিনিয়া দ্বিতীয় বারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হন। দুর্ভাগ্যবশত সেই সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখতে পারেনি। সেই ঘটনাই ইয়েসিনিয়াকে গর্ভ ভাড়া দিতে উৎসাহিত করে। তবে সারোগেসি পদ্ধতির নিয়ম অনুযায়ী সাধারণত সন্তান জন্ম দেয়ার পর ‘ধারক’ মা ওই শিশুটির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতে পারেন না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ওই তরুণী সেই সব দম্পতিকেই গর্ভ ভাড়া দেন, যারা ভবিষ্যতে জন্ম দেয়া শিশুটির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে অনুমতি দেবেন।
ইয়েসিনিয়া বলেন, তিনি একটি সারোগেসি এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে তার প্রথম সারোগেসি প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ প্রক্রিয়ায় ভ্রূণ স্থানান্তরের আগে তিনি মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন, মেডিকেল স্ক্রিনিং, আলট্রাসাউন্ড, রক্ত পরীক্ষা শেষে এক মাসের ওষুধ সেবন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রতি সবার সমর্থন আছে। সবাই শেষ পর্যন্ত আমাকে নিয়ে গর্বিত।