নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর থেকে পালানো ৩ রোহিঙ্গা সুবর্ণচরে আটক
প্রকাশিত : ২০ আগস্ট ২০২২
নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় নারী, শিশুসহ তিন রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। তারা দালালের মাধ্যমে ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল বলে পুলিশকে জানায়।
আটক রোহিঙ্গারা হলো ভাসানচর আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ৮২ নম্বর ক্লাস্টারের মো. রফিকের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (২৫), তাঁর মেয়ে সমিরা (৮) ও ছেলে কাইছার (১৩ মাস)। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আটক রোহিঙ্গাদের থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আক্তার মিয়ার হাট এলাকা থেকে তাদের আটক করে স্থানীয় লোকজন।
পুলিশ জানিয়েছে, রোহিঙ্গারা চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য ভাসানচর থেকে দালালের মাধ্যমে পালিয়ে সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর তোরাব আলী গ্রামের আখতার মিয়ার হাটসংলগ্ন এলাকায় নূরী মাদ্রাসার পাশে কাঠের পোলের ওপর আসে। তখনই পোল ভেঙে পানিতে পড়ে যায়। পানিতে পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়ে স্থানীয় জনগণ ঘটনাস্থলে এসে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা পরিচয় দিতে পারেনি। তখন স্থানীয় জনগণ রোহিঙ্গা বুঝতে পেরে স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিনের কাছে তাদের নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান স্থানীয় ছনখোলা পুলিশ ক্যাম্পে সংবাদ দিলে চরজব্বর থানায় নিয়ে আসে তাদের।
রোহিঙ্গা মনোয়ারা বেগম জানান, একদল বাঙালি ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশের নদীতে মাছ ধরার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পরিচিত হয়। পরে টাকার বিনিময়ে পালানোর জন্য ভাসানচর নদীর ঘাটে আরেকটি বাঙালি দালাল চক্রের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।