মৌলভীবাজারে ভুয়া ওয়ারেন্টে নতুন বরের ১২ দিন কারাবাস
প্রকাশিত : ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা, ইসলামনগর গ্রামের আপ্তাব মিয়ার পুত্র কাতার প্রবাসী সদ্য বিবাহিত নতুন বর মোঃ শিপন মিয়া (৩২) মানব পাচার মামলায় (মামলা নং- ৫০/২০২০ইং) ভুয়া ওয়ারেন্টে ১২ দিন কারাবাস শেষে কারাগার হইতে জামিনে মুক্তি পান। গত ৬ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার ৫নং আমল গ্রহণকারী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে এ জামিন দেন।
যে ওয়ারেন্টে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ওয়ারেন্ট ও মামলা ছিল ভুয়া। কোনোরকম যাচাই বাছাই ছাড়াই ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ফলে তাকে কারাবাস করতে হয়েছে। সদ্য বিবাহিত দেশে ফেরৎ প্রবাসী মোঃ শিপন মিয়া জানান- বিয়ের ১০দিন পর পুলিশ ভুয়া ওয়ারেন্ট দিয়ে গ্রেফতার করে। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে অনেক অনুরোধ করেছি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আমাকে গ্রেফতার করার জন্য।
তিনি আমাকে সময় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আমি সামাজিক, মানষিক ও আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। ক্ষতিপূরণসহ দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। আসামী পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম সিরাজী জানান- সদ্য দেশে ফেরৎ কাতার প্রবাসী মোঃ শিপন মিয়াকে কুলাউড়া থানার পুলিশ গত ২৬ আগস্ট গ্রেফতার করে। যে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট মূলে ধূত করা হয়েছে। সেই মামলার এজাহার, এফআইআর ও চার্জসীটে আসামীর নাম ও ঠিকানা নাই।
সংশ্লিস্ট মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল, সিলেট আদালতে খোঁজ নিয়ে এই ধরনের কোনও মামলা (মামলা নং- ৫০/২০২০ইং এবং ১৭/২০২০ইং) অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ভুয়া ২টি মামলা দেখানো হয়েছে। প্রত্যেকটা সার্চিং ¯িøপ উত্তোলন করে এনেছি। যারা ষড়যন্ত করে ফাঁসিয়ে ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পুলিশ প্রশাসনের উচিত বিষয়টি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে আর কোনও নিরাপরাধী এভাবে ভুয়া ওয়ারেন্টে জেল না খাটে।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুছ ছালেক জানান- বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে পুলিশ সুপার কার্যালয় ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এর মাধ্যমে সংশ্লিস্ট থানায় আসে। এখানে যাছাই করার সুযোগ থাকেনা। বিষয়টি দুঃখজনক। দায়ী ব্যক্তিদের সনাক্ত করা প্রয়োজন।