চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। রবিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাজেদা চৌধুরী।
সকালে নগরকান্দার এমএন একাডেমি স্কুল প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠকের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর পর প্রথম জানাজা হয়। জানাজা শেষে সংসদ উপনেতার কফিন নিয়ে পরিবারের সদস্য ও দলের নেতারা বেলা আড়াইটায় ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসেন। যেখানে সর্বসাধারণ নেতার প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
শহীদ মিনার থেকে আজ বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার চিরচেনা আঙিনা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের তরফ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলটির নেতারা সাজেদা চৌধুরী কফিনে দলীয় ও জাতীয় পতাকা মুড়িয়ে দেন। পরে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আরেকটি জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
দাফনের সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতারা, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
তরুণ বয়সেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া সাজেদা চৌধুরী ১৯৬৯ সালে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৭১ সালে তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে দেশে ফেরার পর তার সঙ্গেও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১০ সালে সাজেদা চৌধুরীকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে সরকার।