পাগলির সন্তানের দত্তক নিলেন রিপন দম্পত্তি
প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনায় আবোল-তাবোল বলা মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত পরিচয়ের নারীর আটদিন বয়সী শিশুকে দত্তক নিলেন নিঃসন্তান এক দম্পতি। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের শর্তসাপেক্ষে ওই সন্তানকে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী গ্রামের মো. রিপন হোসেন (৪২) ও তার স্ত্রী মোসা. রেনু বিবি (৩৫) দম্পত্তির কাছে দত্তক দেন।
জানা যায়, চলতি মাসের ৮ সেপ্টেম্বর সকালে উপজেলার বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের ভবনের নিচে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত পরিচয়ের নারী এক কন্যা সন্তান প্রসব করেন। পরে বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নিজ উদ্যোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ খবর সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে পরলে উপজেলার ও পাশ^বর্তী উপজেলা থেকে কন্যা সন্তানটি দত্তক নিতে নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর ৭-৮জন আবেদন করেন। কন্যা সন্তানটি অপুষ্ট ও জন্ডিস দেখা দিলে চিকিৎসার কারনে সিদ্বান্ত নিতে বিলম্ব হয়।
কন্যা সন্তানকে দত্তক দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল, সদস্য সচিব উপজেলা সহকারি সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মহিবুল্লাহ, সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ও কন্যা সন্তানের চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ গোলাম সরোয়ার ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের দফাদার মো. জামাল হোসেন প্রমূখ।
দত্তক নেয়া মো. রিপন হোসেন বলেন, আমাদের পঁচিশ বছেরের সংসার জীবনে কোন সন্তানের মুখ দেখিনি। এ সন্তান পেয়ে আমারা দু’জন অনেক অনেক খুশি। কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয় বিবি আয়শা। আল্লাহর রহমাতে এই স্তানের জন্য আমরা আমদের সর্বোচ্চ ত্যাগ করে লাল-পালন করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করবো। ইউএনও মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সম্পত্তির মালিকানাসহ ১১টি শর্তসাপেক্ষে কন্যা সন্তানটিকে দত্তক দেয়া হয়।