পর্যটন কুয়াকাটার সৈকতে আজও ভীড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক
প্রকাশিত : ৬ অক্টোবর ২০২২
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পর্যটন কুয়াকাটার সৈকতে আজও ভীড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। আগত পর্যটকরা সমুদ্রের নোনা জলে গাঁ ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন। অনেকে ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছেন কুয়াকাটার কুয়া, লেম্বুরবন, তিন নদীর মোহনা, গঙ্গামতির লেক, লাল কাঁকড়ার চর, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধ বিহার, শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন পল্লীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় পর্যটন স্পট।
অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছে সমুদ্রের ছোট ছোট ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়া। পর্যটকদের এমন ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার সকল হোটেল মোটেল। হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। আগতদের সার্বিক নিরাপত্তায় মাঠে কাজ করছে ট্যুরিষ্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয় জানায়, একসময় ঢাকা থেকে একাধিক ফেরি পার হয়ে কুয়াকাটায় আসতে হতো। পৌঁছাতে ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা সময় লাগত। সর্বশেষ ভোগান্তি ছিল মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টের ফেরি। এখন সেখানে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। এখন ফেরিবিহীন মাত্র ছয় ঘণ্টায় কুয়াকাটায় পৌঁছানো যায়। এ কারনে সরকারী ৫ দিনের টানা ছুটি উপলক্ষে এসকল পর্যটকদের আগমন ঘটে। তবে কুয়াকাটার হোটেল-মোটেলগুলোর অধিকাংশই আগাম বুকিং রয়েছে। পর্যটকদের ভিড় দেখে খাবার হোটেলসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও খুশি।
কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা আসাদুর জামান হিরন বলেন, ছুটি কাটাতে তিনি পরিবারের সবাইকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছেন। এর আগে ফেরি ফেরি পায় হয়ে আসেনে। তখন ভোগান্তি পোহাতে হতো। এবার অল্প সময়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে বাসে করে কুয়াকাটায় পৌঁছেছি। খুব ভালো লাগছে। হোটল গেল্ডেন ইন’র ম্যানের নেছার উদ্দিন সাদি বলেন, তাদের হোটেলের সবকটি রুম বুকিং রয়েছে। অনান্য হোটেলের একই অবস্থ। এখনও পর্যটকরা অনলাইনে বুকিং করছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন কুটুমের সাধারন সম্পাদক মো হোসাইন আমির বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন পর পরই সাগরকন্য কুয়াকাটায় পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগত পর্যটকদের সার্বিক সহযোগিত অব্যহত রেখেছি।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেনীর হোটেলে রুম অগ্রীম বুকিং রয়েছে। আগামী ৮-৯ তারিখ পর্যন্ত এমন অবস্থা থাকবে। কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের পরিদর্শক মো.হাসনাইন পারভেজ বলেন, আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিষ্ট পুলিশ তৎপর রয়েছে।