কলাপাড়ায় প্রবারনা পূর্নিমা উৎসব
প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর ২০২২
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরনে শুরু হলো বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। রবিবার সকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মন্দিরে মন্দিরে পঞ্চশীল ও অষ্টশীল প্রার্থনা এবং বুদ্ধপূজার মধ্য দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা করা হয়। পরে বুদ্ধের স্মরনে বিভিন্ন ফল ও হরেক রকমের পিঠাপুলি বৌদ্ধ ভিক্ষুকে প্রদান করেন বৌদ্ধধর্মের বয়স্ক নারী পুরুষরা। এ উৎসবকে ঘিরে উপজেলা ২৩টি রাখাইন পাড়া গুলোতে বিরাজ করছে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। বৌদ্ধ বিহার গুলোতে সমাবেশ ঘটেছে বৌদ্ধভিক্ষুসহ রাখাইন নর-নারীদের।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সূত্র মতে প্রবারনা শব্দটি পালি শব্দ থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ অনুরোধ, মিনতি, বর্ষবাস, ত্যাগ, শিষ্টাচার, ক্ষতিপূরন,তৃপ্তি, নিমন্ত্রন বা আহবান। বর্ষবাস শেষে বুদ্ধ সকল ভিক্ষুগন একত্রিত হয়ে তাদের ভুল-ত্রæটি একে অপরের কাছে প্রকাশ করা এবং প্রায়চিশ্চেতের আহবান করা। এছাড়া ভুলবসতঃ কোন আপরাধ হয়ে থাকলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এটাই হচ্ছে প্রবারনার মূল কথা।
এদিকে প্রবারনা উৎসবকে ঘিরে রাখাইন সম্প্রদায়ের যুবকরা রাতের আকাশে রঙ বে-রঙের বর্নিল ফানুসে ওড়াবেন। আর এ ফানুস ওড়ানো দেখতে সকল ধর্মের লোকজন মিলিত হয়। প্রতিবছর প্রবারনা উৎসব পালনের জন্য অন্ততঃ এক সপ্তাহ আগে থেকেই চলে প্রস্তুতি এনটাই জানিয়েছেন আয়োজকরা।
পৌর শহরের চৈয়াপাড়া এলাকার অধিবাসী চিংদামু মাতুব্বর জানান, সাধ্যানুযায়ী তাদের ঘরে ঘরে বিভিন্ন প্রকার পিঠা,পায়েস এবং ভাল খাবারের আয়োজন করেন। এছাড়া ফানুস এখন সার্বজনীন উৎসব। সকল ধর্মের লোকজন এ উৎসবে মিলিত হয়ে আনন্দ পায়। মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, থানা পুলিশের পক্ষ থেকে স্বার্বক্ষনিক নজরদারী রায়েছে।