বাউফলে এসএসসি পাশ জিন্নাতের মাসিক আয় লাখ টাকা
প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর ২০২২
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের জিন্নাত আরা চৌধুরি জীবন সংগ্রামে বিজয়ী এক নারী। জিন্নাত এখন বেকার ও হতাশাগ্রস্ত যুবদের মডেল। ২০০০ সালে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে মুরগির খামার শুরু করেন তিনি। মুরগির খামারের সঙ্গে রয়েছে তার মাছ চাষের প্রকল্প। এছাড়াও পার্লারের ব্যবসা করছেন এই নারী। বর্তমানে খামার ও পার্লার থেকে তার প্রতিমাসে আয় ১ লাখ টাকারও বেশী।
ব্যবসার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কাজ করছেন তিনি। বগা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদে ৩ বার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন জিন্নাত। প্রথমে দুই বার হেরে গেলেও সর্বশেষ ২০২১ সালের নির্বাচনে তিনি মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। ব্যবসার লাভের টাকায় এলাকায় ২৫ শতক জমি ক্রয় করেছেন। জীবন সংগ্রামী এই নারী উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ৩ বার শ্রেষ্ঠ জয়ীতার পুরস্কার পেয়েছেন।
জিন্নাত আরা চৌধুরী বলেন, বিয়ের পর আমি ও আমার স্বামী অর্থকষ্টে চোখে অন্ধকার দেখছিলাম। এমন সময় একটি এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করি মুরগির খামার। শুরুতে ছোট্ট পরিসরে খামার শুরু করেছি। মুরগি খামারের জন্য এখন আমার ৩টি বিশাল টিনশেড ঘর রয়েছে। পার্লার ও খামার থেকে আমার এখন মাসিক আয় লাখ টাকারও বেশী। আমার ৩ সন্তান ও স্বামী আমাকে কাজে সহায়তা করছে। লেখাপড়া শেষ হলে আমার সন্তানরা পারিবারিক ব্যবসা করবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
চাকুরির পেছনে না ঘুরে তরুন যুবদেরকে ব্যবসা করার পরামর্শ দিয়ে জিন্নাত আরা বলেন, ব্যবসা করে চাকুরির চেয়ে বেশী উপার্জন সম্ভব। ব্যাংক থেকে ঋণ পেলে শিগগিরই এলাকায় পোষাকের ব্যবসা শুরু করতে চান জিন্নাত। স্বামী বুলবুল চৌধুরী বলেন, ২০০০ সালে চট্টগ্রামে আমার ফোন-ফ্যাক্সের ব্যবসা ছিল। ব্যবসায়ীক মন্দার কারনে হিমশিম খেতে থাকি। ওই বছরই বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে আসি। এরপর থেকে আমার স্ত্রীকে তার মুরগির খামারের কাজে সহযোগিতা করেন ।