ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
প্রকাশিত : ৫ নভেম্বর ২০২২
বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে গাড়িতে থাকা কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকেও বরিশালে যেতে দেওয়া হয়নি। গৌরনদী থেকে তার গাড়ি ঢাকার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ইশরাক বরিশালে সকাল ৯টার দিকে সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বরিশাল বিএনপির সমাবেশের উদ্দেশে ঢাকা থেকে একটি গাড়ি বহর নিয়ে রওনা হন। পথে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হয় তার গাড়ি বহরটি। এক সময়, গাড়ি বহরটি বরিশালের কাছাকাছি গৌরনদীর মাহিলারা বাজারে পৌঁছালে সেখানে হামলা করেন দুর্বৃত্তরা। হামলায় ইশরাক হোসেন অক্ষত থাকলেও ভাঙচুর করা হয় তার গাড়িবহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি। ওইসব গাড়িতে থাকা কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।
গাড়ি বহরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ সরকারকে ভীত করেছে। জোয়ার আটকাতে না পেরে সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ দিয়ে বাধার সৃষ্টি করছে। রাতের আঁধারে গাড়িবহরে চোরাগুপ্তা হামলা করে পালিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের নেতা-কর্মীদের মনে ভীতি সঞ্চারের অপচেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা দমে যাওয়ার পাত্র নই। সব বাধা মোকাবেলা করে ঠিকই সমাবেশস্থলে এগিয়ে যাচ্ছি। যত হামলা করুক না কেন, কোনো বাধাই এবার বিএনপি নেতা-কর্মীদের দমাতে পারবে না।
হামলায় আহতরা হলেন, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল হক সহিদ, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মামুন ভূঁইয়া, রকি, কর্মী মো. রাসেল, মো. বাবুল ও খোকন। ৪০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইমরান ৪২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সদস্য সচিব মাসুদ রানা, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রকি ও আল আমিন প্রমুখ।
এদিকে, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বরিশালের বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশ নিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে বাধার শিকার হন। সেখানে ৫০-৬০জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তার গাড়ি থামিয়ে হামলার হুমকি দেয়। গালিগালাজ করে তাকে ঢাকায় ফিরে যেতে বলে। ইশতিয়াক আজিজ নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিলেও তাকে ঢাকার দিকে ফিরে যেতে বলে। তিনি বরিশালে যেতে না পেরে গাড়ি ঘুরিয়ে ঢাকায় ফিরে যান।