দর্শনার্থী, সাধু, সন্যাসী ও ভক্তবৃন্দের পদচারনায় মুখরিত সৈকত কুয়াকাটা
প্রকাশিত : ৮ নভেম্বর ২০২২
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পূর্নিমা তিথিতে মঙ্গলবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গঙ্গাস্নান করবে। পূন্যের আশায় একযোগে সমুদ্রের নীল জলে স্নান সম্পন্ন করবেন হাজারো নারী-পুরুষসহ পূন্যার্থীরা। এ উপলক্ষে দর্শনার্থী, সাধু, সন্যাসী ও ভক্তবৃন্দের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে পুরো সৈকত। সর্বত্র বইছে উৎসবের আমেজ। যেন তিল ধরনের ঠাই নেই। গতকাল সেমবার বিকেল থেকেই এসব পূন্যার্থী ও ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটেছে। হোটেল মোটেল গুলোতে খালি নেই কক্ষ। তাই অনেকেই র্নিঘুম রাত কাটিয়ে স্নান সম্পন্ন করবেন। পদ্মা সেতু ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে এ বছর ব্যাপক লোক সমাগমের আশা করছেন উদযাপন কমিটি। তবে গঙ্গা ¯œান উদ্যাপন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পূন্যার্থীদের থাকা এবং খাওয়ার সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসব ও গঙ্গা ¯œানের লক্ষ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফ থেকে কয়েক স্তরের বেষ্টনী তৈরী করা হয়েছে। রয়েছে একটি মেডিকেল টিম। এছাড়া কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেক পোষ্ট। যত্রতত্র গাড়ী পার্কিংয়ে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সূত্র মতে ,সোমবার বিকেল ৪ টা ২৩ মিনিটে শুরু হবে পূর্ণিমা। থাকবে পরদিন বিকেল ৪ টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত। এ হিসাব মতে আজ মঙ্গলবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটায় সমুদ্রের নীল জলে পূন্যের আশায় একযোগে স্নান সম্পন্ন করবে পূনার্থীরা। এর আগে অনেক মানতকারীরা মাথার চুল ন্যাড়া করাসহ প্রাশ্চিত্ত ও পিন্ডদান করবে সৈকতে। এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বী হাজারো নারী পুরুষ পূণ্যের আশায় মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালিয়ে বেল পাতা, ফুল, ধান, দুর্বা, হরিতকী, ডাব, কলা, তেল, সিঁদুর ইত্যাদি সমুদ্রের জলে অর্পণ করবে। আবার এদর মধ্যে কেউ কেউ উলুর ধ্বনি, গীতা পাঠ করবেন। পরে তারা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শ্রী শ্রী কৃষ্ণের রাস উৎসব মিলিত হবেন।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোশিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, এ উৎসবকে হোটেল মোটেল গুলোতে আগাম বুকিং হয়েছে গেছে।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, রাস উৎসব ও গঙ্গা ¯œান একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের তরফ থেকে কয়েক দফা মিটিং করা হয়েছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর উৎসবকে নিরাপদ ও বিড়ম্বনা মুক্ত রাখতে ব্যাপক প্রস্ততি প্রহণ করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মো.আবুল খায়ের জানান, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহলের পাশাপাশি পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য জানান, গঙ্গাস্নান ও মেলায় আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপজেলা, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সমন্বয় একটি নিরাপত্তা বেষ্ঠনী তৈরী করা হয়েছে। আশা করি কোন ধরনের সমস্যা হবে না বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।