শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ কৃষিতে আবদুর রহমান চিনিগুড়া ধানের বাম্পার ফলন
প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর ২০২২
সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে সুগন্ধি চিনি গুড়া ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। এর ফলে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারন অধিদপ্তরের পরামর্শে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহমান’র গ্রামের বাড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন পূর্ব দশমিনায় এবার এক একর জমিতে সুগন্ধি চিনি গুড়া, স্বর্ণ গোটা ধান ১.৫০ শতাংশ ও ভিত্তি তেইশ ৬একর মোট সাড়ে আট একর জমিতে ধানের আবাদ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদি ইউনিয়নের ২২নম্বর গুলিআউলিয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহমান শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ কৃষি কাজে সফলতায় উপজেলায় শ্রেষ্ঠ কৃষকের উপাধি পেয়েছেন। এ বিষয়ে ২২নম্বর গুলি আউলিয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রহমান জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মাদ জাফর আহাম্মেদের পরামর্শে এবার বিভিন্ন জাতের সাড়ে আট একর জমিতে ধানের আবাদ করেন। তিনি জানান, তিনি মোট সাড়ে আট একর জমিতে প্রায় লাধিক টাকা খরচ করে বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করেন তাতে ফলন ভাল এবং সংসারে বছরের খোরাক (মওজুদ) রেখে প্রায় দুই লাধিক টাকার ধান বিক্রি করে থাকেন। চিনি গুড়া ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় বেশ কয়েকজন কৃষক বীজ ধান রাখার জন্য আগাম বলে রেখেছেন।
সরেজমিনে উপজেলার দক্ষিন পূর্ব দশমিনায় গেলে স্থানীয় কৃষক মো. আমিনুল, মিজানুর ও খলিল বয়াতি জানান, তারা আগামীতে তাদের জমিতে চিনি গুড়া ধানের আবাদ করবেন। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় ১শ’ ২৩ একর জমিতে এবার সুগন্ধি চিনিগুড়া ধান আবাদ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহম্মেদ জানান, সুগন্ধি চিনি গুড়া চালের দেশে ভাল চাহিদা রয়েছে আর বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। শিক্ষক আবদুর রহমানের চিনি গুড়া ধানের বাম্পার ফলন দেখে বেশ কয়েকজন বীজ ধান রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন।