মিরাজ-মুস্তাফিজ জুটিতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়
প্রকাশিত : ৪ ডিসেম্বর ২০২২
১৩৬ রান থেকে ১৮৭ রান। ৫১ রানের প্রায় অসম্ভব এই সমীকরণকে সম্ভব করে ঘরের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে আবারাও ইতিহাস লিখল বাংলাদেশ। মিরাজের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজকে নিয়ে শেষ জুটিতে এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার যা করে দেখিয়েছেন, তা হয়তো ভাবেনি কেউ। প্রথম ওয়ানডেতে কোহলি- রোহিতদের বেঁধে দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় টাইগাররা। ম্যাচে জয়ের নায়ক অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
দিনের শুরুতে মিরপুরে টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। শুরুটা ভালো করলেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহ পায়নি ভারত। সবশেষ সাকিবের ৫ উইকেট ও ইবাদত হোসেনের ৪ উইকেটের শিকারে দলটির ইনিংস থামে ১৮৬ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন লোকেশ রাহুল।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। তাতেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর লিটন ও বিজয় উইকেটে টিকে থেকে রান তুলতে থাকলেও ২৯ বলে ১৪ রান করে সিরাজের বলে সাজঘরে ফেরেন বিজয়। এরপর দলের ক্রান্তিকালে টাইগারদের ম্যাচে ফেরানোর আভাস দেন ওপেনার লিটন ও সাকিব।
তবে ৪১ রানে লিটন সাজঘরে ফিরলে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। লিটনের ফেরার পর দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন সাকিবও। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। দুর্দান্ত সেই ক্যাচ লুফে নিয়ে দলকে নির্ভার করেন কোহলি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা। ১২ বলে ৬ রান করে আফিফ হোসেন সাজঘরে ফিরলে টাইগাররা পেতে থাকে হারের পূর্বাভাস। তবে সেই সময়ই বাংলাদেশের ত্রাতা হয়ে আসেন মিরাজ। মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে গড়েন ৫১ রানের জুটি। বাংলাদেশের হয়ে শেষ উইকেট জুটিতে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ৪ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৩৯ বলে ৩৮ রান করেন এই অলরাউন্ডার। সঙ্গী মুস্তাফিজের ব্যাট থেকে আসে ২ চারে ১১ বলে ১০ রান। আর এতেই অবিশ্বাস্য এক জয়ের সাক্ষী হয় গোটা ক্রিকেট বিশ্ব।
টাইগারদের রুদ্ধশ্বাস এই ম্যাচে জয়ের নায়ক মিরাজ। তাই ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও হাতে পান এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগামী ৭ ডিসেম্বর মাঠে নামবে এই দুই দল।