মার্টিনেজ বীরত্বে টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত : ৫ জুলাই ২০২৪

প্রতিপক্ষ ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের জন্য টাইব্রেকারে সাক্ষাৎ যমদূত হিসেবে দেখা দিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ । শেষ সময়ে ইকুয়েডর গোল করে সমতায় ফিরলেও মার্টিনেজ বীরত্বে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতলো আর্জেন্টিনা।

নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট ১-১ সমতায় থাকে। ইনজুরির কারণে শঙ্কা থাকলেও আর্জেন্টিনার একাদশে ফেরেন মেসি। দলে জায়গা হারান ডি মারিয়া। তবে ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। বল দখলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করে ইকুয়েডরই। তাদের একজন ভালো ফিনিশার থাকলে অন্তত দুই গোলে পিছিয়ে থাকতো আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে যান কাইসেদো। ডি-বক্সের সামান্য ভেতর থেকে নেওয়া দুর্বল শট সহজেই তালুবন্দি করেন এমি মার্টিনেজ।

ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় আবারও সুযোগ পায় ইকুয়েডর। এবার দারুণ আক্রমণ করে ডান দিক দিয়ে তারা। কিন্তু বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে একজন ডিফেন্ডারকে কাটালেও গোলকিপার মার্টিনেজকে পরাস্ত করতে পারেননি পায়েজ।

১৭ মিনিতে এনার ভ্যালেন্সিয়ার ক্রস থেকে প্রেসিয়েদোর দুর্বল শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। মলিনার দারুণ ক্রস থেকে খালি জায়গায় হেড করার সুযোগ পেয়েও বল বাইরে মারেন এনজো ফার্নান্দেজ।

৩৩ মিনিটে মেসির দারুণ ডিফেন্স চেরা পাস থেকে এনজো ফার্নান্দেজ ডি-বক্সের ভেতর বল টেনে নিয়ে গেলেও তার শট ব্লক করে দেয় ইকুয়েডরের ডিফেন্ডাররা। কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। সেই কর্নার থেকেই অবশেষে গোল পায় আর্জেন্টিনা।

মেসির কর্নার থেকে ম্যাক অ্যালিস্টার হেড করলে বল যায় ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজের কাছে। ভেসে আসা বলে মার্টিনেজ দারুণ হেডে বল জালে জড়ালে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তারা।

ম্যাচের ৪৩ মিনিটে বাঁ-পাশ থেকে আক্রমণে এনজো ফার্নান্দেজ দারুণ বল ক্রস করলেও তাতে পা ছোঁয়াতে পারেনি আর্জেন্টিনার কেউ। ম্যাচে আর কোনো গোল না হলে প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ৫৪ মিনিটে এমি মার্টিনেজের কিক থেকে বল ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন লাওতারো।

ম্যাচে ৫৯ মিনিটে কর্নার থেকে ডি বিক্সের ভেতর হেড দিতে গিয়ে রড্রিগো ডি পলের হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।

স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও স্পট কিক থেকে বল গোলবারে মারেন তিনি। সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হলো ইকুয়েডর। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে প্রথম গোলমুখে শট নেন লিওনেল মেসিম তার ডান পায়ের শট সোজা গোলরক্ষক বরাবর গেলে সেটি তিনি ভালোভাবেই রুখে দেন।

ম্যাচে যখন আর্জেন্টিনা জয়ের সুবাস পাচ্ছে তখনই ম্যাচের ৯২ মিনিটে ইকুয়েডরের কেভিন রড্রিগেজ গোল করে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান। কোপায় কোন অতিরিক্ত সময়ের নিয়ম না থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে আবারো সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বীরত্বে ম্যাচ জিতলো আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম পেনাল্টি মিস করেন আর্জেন্টিনা মেসি। কিন্তু এমি মার্টিনেজ টানা দুটি পেনাল্টি রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচে ফেরান। শেষ পেনাল্টিতে নিকোলাস ওটামেন্ডি আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন।

আপনার মতামত লিখুন :