সেনা ও র্যাবের পোশাক পরে ডাকাতি: গ্রেপ্তার ১১, উদ্ধার ৯ লাখ টাকা
প্রকাশিত : ১৩ অক্টোবর ২০২৪
সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে ঢাকার মোহাম্মদপুরে ডাকাতির ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে মোট ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, কিছু স্বর্ণালংকার। তাদের মধ্যে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর চাকরিচ্যুত পাঁচজন আছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।তিনি বলেন, অভিযান অব্যাহত আছে, অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। লুট হওয়া ৭ লাখ টাকা, কিছু স্বর্ণালংকার এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দের কথাও জানান কর্নেল মুনীম।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, তারাও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন। তাদের কাছ থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও দুটি লুণ্ঠিত আইফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন শরীফুল ইসলাম তুষার, জাকির হোসেন ও মো. মাসুদুর রহমান। তাদেরকে মোহাম্মদপুর থানায় করা ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তা মোড় সংলগ্ন একটি বাড়িতে ঘটা ওই ডাকাতিতে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৭০ ভরি সোনা লুটের তথ্য জানা যায়। মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান শনিবার বলেছিলেন, মুখে মাস্ক লাগিয়ে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে আসা লোকজনকে দেখে দারোয়ান গেট খুলে দেয়। এরপর তারা তিনতলায় আবু বকরের ফ্ল্যাটে যায়।
সেনাবাহিনীর পোশাক পরা যে কয়জন এসেছিল, তারা এমনভাবে এসেছিল যে বোঝার উপায় নেই তারা সেনাবাহিনীর সদস্য নয়। হেলমেটটা দেখেও সন্দেহ করার উপায় নেই। তারা বাসায় ঢুকে আমার বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেইনি বলে অস্ত্র নিতে আসার কথা জানায়। অস্ত্র থানায় জমা দেওয়া হয়েছে জানালেও তারা কোনো কথা না শুনে অস্ত্র খোঁজার নাম করে আলমারিগুলো খুলে তছনছ করে এবং টাকা স্বর্ণালংকার নেয়।
পরে তারা ফ্ল্যাটের একপাশে আমার অফিসে যায় এবং একইভাবে অস্ত্র আছে বলে সিন্দুক ও আলমারি খুলে টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে চলে যায়। তারা প্রায় ঘণ্টাখানেক অবস্থান করে ভোর সোয়া ৪টার দিকে বের হয়ে যায়। তারা দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি প্রাইভেটকার নিয়ে আসে জানিয়ে আবু বকর বলেন, বাসার ভেতরে ১৫/২০জন ঢুকেছিল, বাইরেও তাদের লোকজন ছিল।