দীঘির বিয়ে দেখার অনুমতি পেল সব বয়সী দর্শক!
প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রেক্ষাগৃহে হতে যাচ্ছে বছরের সবচেয়ে বড় বিয়ের আয়োজন। হালের আলোচিত অভিনেত্রী দীঘির বিয়ে! সব প্রস্তুতি আগে থেকেই সম্পন্ন ছিল। পরিবারের সদস্যরা প্রেক্ষাগৃহে বিয়ের আয়োজনের জন্য সার্টিফিকেশন বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন। এবার তারা সেই অনুমতি পেয়ে গেছেন, তাই দীঘির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় আর কোনো বাধা রইল না।
অভিনেত্রী দীঘির বিয়ে হবে প্রেক্ষাগৃহের বড় পর্দায়, অর্থাৎ সিনেমায়। সিনেমাটির নাম ‘৩৬-২৪-৩৬’। বুধবার বিকেলে মুক্তির ছাড়পত্র পেয়েছে সিনেমাটি, নির্মাতা পক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। এটি মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রজেক্টের একটি সিনেমা।
চলতি ধারায় আছে, ‘হাজার কথা না হলে বিয়ে হয় না’। যদিও দীঘির বিয়ের বিষয়টি পর্দায় হচ্ছে, তাতে এই কথার ব্যতিক্রম ঘটছে না। দীঘি বড় পর্দায় বধূ বেশে কবে উপস্থিত হচ্ছেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। সিনেমার মুক্তির তারিখ এখনও জানাতে রাজি নন প্রযোজক রেদওয়ান রনি। তিনি জানান, মুক্তির সার্টিফিকেট তারা নতুনই পেয়েছেন, শিগগিরই মুক্তির তারিখ জানানো হবে।
রেজাউর রহমান, কারিনা কায়সার ও মোনতাসির মান্নানের লেখা এবং রেজাউর রহমানের পরিচালনায় সিনেমাটির মূল চরিত্রে প্রার্থনা ফারদীন দীঘি ছাড়াও অভিনয় করেছেন সৈয়দ জামান শাওন, কারিনা কায়সার ও অন্যান্য শিল্পীরা।
সিনেমায় দীঘি প্রিয়ন্তী চরিত্রে অভিনয় করেছেন, এবং অধিকাংশ সময় তাকে বিয়ের সাজ ও পরিবেশে দেখা যাবে।
দীঘি বলেন, “সবকিছু মিলিয়ে আমি খুব খুশি, এবং অনেক ভালো লাগছে। এমন চরিত্র আমি আগে কখনো করিনি। যেভাবে কাজটি হয়েছে, তাতে সিনেমাটি নিয়ে আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাই ভালো লাগার পাশাপাশি একটু ভয়ও কাজ করছে।”
এই সিনেমায় সায়রা চরিত্রে অভিনয় করেছেন কারিনা কায়সার, যিনি একজন মেধাবী ও সফল ওয়েডিং প্ল্যানার। সৈয়দ শাওন নতুন বরের ভূমিকায় থাকবেন, তার চরিত্রের নাম তাহসির।
সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন গোলাম কিবরিয়া তানভীর, মিলি বাশার, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শহীদুল আলম সাচ্চু, রোজী সিদ্দিকী, শামীমা নাজনীন, আবু হুরায়রা তানভীরসহ আরও অনেকে।
এর আগে মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রজেক্টের আওতায় নির্মিত হয়েছে ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ‘মনোগামী’, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ এবং ‘ফরগেট মি নট’। এসব সিনেমা সরাসরি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।
এ কারণে সমালোচনা উঠেছে যে, ‘৩৬-২৪-৩৬’ ওটিটি কনটেন্ট হলেও সেটিকে বড় পর্দার সিনেমা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, এটি সিনেমা শিল্পের জন্য ক্ষতিকর একটি চর্চা।