কলাপাড়ায় কৃষক বাজারে চালু হলো গরুর মাংসের কম্বো প্যাকেজ

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর ২০২৪

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি নভেম্বর।। পটুয়াখালী কলাপাড়ায় এবার কৃষক বাজারে নতুন করে যুক্ত হলো গরুর মাংসের কম্বো প্যাকেজ। শুক্রবার সকালে প্যাকেজটি চালুর পর পরই পৌর শহরের ভলিবল খেলার মাঠের এ বাজারটিতে ভীড় বাড়ে সাধারন ক্রেতাদের। এ কম্বো প্যাকেজে ২০০ গ্রাম গরুর মাংসের সাথে রয়েছে ৩ পিচ আলু, ৩ পিচ পিয়াজ ও ৩ পিচ কাচা মরিচ। এর দাম নির্ধারন করা হয়েছে ২০০ টাকা। আর ৫০০ গ্রাম গরুর মাংসের দাম নির্ধারন করা হয়েছে ৩২৫ টাকা। স্বল্প পন্যের স্বল্প দামের এ প্যাকেজটি চালু করায় সাধারন ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলা প্রশাসন ও আমরা কলাপাড়াবাসী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে গত শনিবার এ কৃষক বাজারটি চালু করা হয়। উপক‚লের প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদিত খেতের ফসল মধ্যস্বত্বভোগী ও খাজনা ব্যতীত সরাসরি ন্যায্য মূল্যে ক্রয় করতে পেরে খুশি ক্রেতরা।

ক্রেতা জামাল হোসেন জানান, কৃষিক বাজারে সবজি কিনতে এসে দেখি এখানে গরুর মংস বিক্রি হচ্ছে। তার পরিবারে সদস্য সংখ্যা কম। তাই তিনি বিভিন্ন সবজির সাথে ৫০০ গ্রাম গরুর মাংস কিনেছেন। তবে এতো অল্প দামে কিনতে পারবেন তা কল্পনা করেননি তিনি।

ক্রেতা জাহানারা বেগম বলেন, আমরা নিন্মআয়ের মানুষ। বেশি দামে সবজি পণ্য কিনতে কিনতে দিশাহারা হয়ে গেছি। আজ এই কৃষকের বাজার থেকে ন্যায্য মূল্যে সবজি কিনেছি। দামও কম, সবজির মানও ভালো। কৃষক সুলতান গাজী বলেন, আগে খেতে উৎপাদিত শাক, সবজি ফরিয়াদের কাছে বিক্রি করতাম। এখন কৃষকের বাজারে এসে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করছি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা কলাপাড়াবাসীর’ এর সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাজারে যেকোনো পণ্য কিনতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আমরা কৃষকদের নিয়ে কৃষকের বাজারে প্রথমে সবজি বিক্রি দিয়ে শুরু করেছিলাম। মানুষের চাহিদা অনুযায়ি এখন আমরা গরুর মাংসের কম্বো প্যাকেজের আয়োজন করেছি। ভবিষ্যতে মাছ এবং মাংস থেকে শুরু করে সবকিছুই এই কৃষক বাজারে পাওয়া যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, শাক সবজির বাজার স্থাপনের পরে, ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা প্রেক্ষিতেই এই বাজারে গরুর মাংসের কম্বো প্যাকেজ চালু করা হয়েছে। এ বাজারটিতে কম মূল্যে দ্রব্য পাওয়ার করানে আশেপাশের বাজারগুলোতে বেশ প্রভাব পড়েছে। ক্রেতারাও দর দাম করতে পাড়ছে। এর ফলে দ্রব্য মূল্য কমের দিকে রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :