নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ পাঁচ জলদস্যু আটক

প্রকাশিত : ১৭ মে ২০২০

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে দুটি বন্দুক, দুই রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচ জলদস্যুকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় অপহৃত ৯ জেলেকে উদ্ধার করে তারা। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের উত্তর পাশে গাসিয়ার চরের সন্নিকটে মেঘনা নদী থেকে তাদের আটক করা হয়। রোববার (১৭ মে) ভোরে তাদের হাতিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।

আটক ৫ জলদস্যুরা হলেন- লক্ষ্মীপুর কমলগঞ্জ থানার তালতলি ইউনিয়নের চরমাটিয়া গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে মো. পারভেজ (২৭), একই জেলার একই থানারচর কাদিরা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল হোসেন (২৮) একই জেলার রামগতি উপজেলার চরগজারিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হারুন (৩৫), ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার চর জহিরুদ্দিনের মফিজ মাস্টারের ছেলে মো. হোসেন (৩৩) ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর গজারিয়ার আব্দুর রশিদের ছেলে মো. হাসান (৪৫)।

হাতিয়া কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, গত দুদিন ধরে মেঘনা নদী থেকে বিচ্ছিন্নভাবে জলদস্যুরা ৯ জন জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করছে। এ সংবাদ পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি টিম নদীতে অভিযানে যায়। পরে শনিবার রাতে কোস্টগার্ড গাসিয়ার চরের কাছে জলদস্যুদের দেখে দাওয়া করলে অনেকে পালিয়ে গেলেও পাঁচ জলদস্যুকে আটক করা হয়। এ সময় জলদস্যুদের কাছ থেকে দুটি বন্দুক দুই রাউন্ডতাজা গুলি ও ৫টি রামদা উদ্ধার করা হয়। এ সময় জলদস্যুদের অপহৃত ৯ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া ৯ জেলের মধ্যে একজনের বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় অন্যদের বাড়ি হাতিয়া উপজেলায়। হাতিয়া কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট বিশ্বজিৎ বড়ুয়া জানান, আটক জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড বাদী হয়ে অস্ত্র ও ডাকাতি আইনে হাতিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার করা জেলেদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :