ঘূর্ণিঝড় আম্পান: আশ্রয়কেন্দ্রে ২৪ লাখ মানুষ

প্রকাশিত : ২০ মে ২০২০

করোনার মহামারীর মধ্যেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফান বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। বইছে দমকা হাওয়া। এমতাবস্থায় দেশের উপকূলবর্তী নিচু এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলীয় জেলাসমূহের ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনার প্রক্রিয়া অব্যহত রয়েছে।

গতকাল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় আমফানের কারণে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ১৪৪ জন মানুষকে আশ্রয় দেওয়া গেলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হবে। সেজন্য ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১২টায় আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আমফান মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এগিয়ে এসেছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের বাতাসের সর্বোচ্চ বেগ ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আমফানের অবস্থান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। আমফানের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও এর আশপাশের দ্বীপে ১০-১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়াও এ অঞ্চলসমূহে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এর কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :