বরিশাল নদী বন্দর থেকে রাজধানীমুখী লঞ্চে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি

প্রকাশিত : ৩১ মে ২০২০

বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী কোনো লঞ্চে মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। বিকেল গড়াতেই লঞ্চগুলোতে ছিলো উপচে পড়া ভীড়। প্রতিটি লঞ্চের ধারণ ক্ষমতার দেড় থেক দ্বিগুণ যাত্রী উঠানো হয়। ছিলো ঈদের মত ভীড়। পরে ম্যাজিস্ট্রেট এসে তৃতীয় শ্রেণির ডেকের প্রধান ফটক বন্ধের নির্দেশ দেয়। রোববার (৩১ মে) দুপুর থেকে বরিশাল নদী বন্দরে থাকা তিনটি লঞ্চে যাত্রীদের ভীড় থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার নিজে মাইকিং করলেও তাতে কর্ণপাত করেননি কোনো যাত্রী। এক পর্যায়ে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান র‌্যাব সদস্যদের নিয়ে নদী বন্দরে পৌঁছে ডেকের অবস্থা দেখে ডেকের প্রধান ফটক বন্ধের নির্দেশ দেয়। তিনটি লঞ্চেরই প্রধান ফটক বন্ধ করা হয়। যাত্রীরা জানান, স্বাস্থ্যবিধির কথা জানা থাকলেও মানছে না কেউ। এ অবস্থায় করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার আশঙ্কা তাদের।

এ ব্যাপারে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, সাবধানতার চেষ্টা করলেও কেউ কথা শুনছেন না। এর এক পর্যায়ে সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় নদী বন্দরে পৌঁছান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান। তিনি তিনটি লঞ্চের ডেক শ্রেণি বন্ধের নির্দেশ দেন। বরিশাল নদী বন্দর থেকে আজ সুন্দরবন ১১, সুরভী ৯ ও এ্যাডভেঞ্জার ৯ রাজধানীর উদ্দেশ্য রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে যাত্রা করার কথা। ২৪ মার্চের পর এই প্রথম বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী হচ্ছে লঞ্চগুলো।

 

আপনার মতামত লিখুন :