এমপি’র ২য় বিয়ে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইব-এমপি এনামুলের সাবেক স্ত্রী

প্রকাশিত : ১ জুন ২০২০

এবার আরো বড় ধরনের হুমকি দিয়েছেন এমপি এনামুলের দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয়ধারী লিজা আক্তার আয়েশা। আজ সোমবার দুপুরে তিনি তাঁর ফেসবুকে লিখেন, `আমি থেমে নেই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর কাছে যাবো এবং এর বিচার চাইবো।বাস্তব খবর পাঠকদের জন্য লিজার ওই পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।‘আপনারা সবাই ভাবছেন আমি থেমে গেছি। আমি থেমে যাই নাই সংসদ সদস্যের ভক্তরা আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেলে দেওয়া হবে এমন বলছেন। এবং মাননীয় সংসদ সদস্য গতকাল আমাকে বলেছেন, ‘আমি গণমাধ্যমে এসেছি তাই আমাকে আজ উনি ডিভোর্স দিবেন।সব মিলিয়ে আমি মানুষিকভাবে ভেঙে পড়েছি। তবে আমি থেমে নেই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর কাছে যাবো এবং এর বিচার চাইবো। আপনারা সকলেই আমাকে সহযোগিতা করেছেন পাশে থেকেছেন আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি এনামুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয়ধারী লিজা আক্তার আয়েশা নামের ওই নারী আজ সোমবার তাঁর ফেসবুকে এ পোস্টটি করেন। ওই নারীর বাড়ি নগরীর তেরোখাদিয়া এলাকায়। এর আগে তাঁর সঙ্গে এমপি এনামুলের একাধিক অন্তরঙ্গ ছবিও ফেসবুকে পোস্ট করেন।

যা নিয়ে সামাজিক গণমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। তবে লিজার সঙ্গে তালাক হয়েছে বলে দাবি করেছেন এমপি এনামুল।প্রসঙ্গত, গত শনিবার (৩০ মে) লিজা আক্তার আয়েশা নামের ওই নারী প্রথম ফেসবুকে লিখেন, এমপি সাহেবের রক্ষিতা বা প্রেমিকা নই দ্বিতীয় বউ আমি।’ আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, ‘এমপি সাহেব আমার হাজবেন্ড এই কথাটা যদি কারো কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয় তাঁরা বিয়ের কাগজ দেখতে পারেন।’ এটি নিয়ে সিল্কসিটিনিউজে প্রথম সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক গণমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এর দুই ঘণ্টা পরে আরেকটি পোস্টে লিখেন, ‘একজন সংসদ সদস্য অনেক বড় অবস্থানের মানুষ। তাঁর বিরুদ্ধে চাইলেই কেউ মিথ্যা অপবাদ দিতে পারে না। আমার কথাগুলো যদি মিথ্যা হইতো তাহলে এতক্ষণে পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে যেতো। আমি যা কিছু বলছি এবং বলবো সব সত্যি। আপনারা আমাকে বিরক্ত না করে ধৈর্য্য ধরে পাশে থাকুন।’ এরপর এমপি এনামুলের সঙ্গে একাধিক ছবিও পোস্ট করেন লিজা।লিজা আরেকটি পোস্টে লিখেন, ‘২০১৮ সালের ১১ মে আমাদের বিয়ে হয়। প্রথমে আট বছর আগে আমাদের বিয়ে হয় মৌখিকভাবে।

তার বাগমারার বাড়িতে। কিন্তু লিখিত বিয়ের পর গত দুই বছর ধরে তিনি আমাকে গোপনে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে আসছেন। এখন তিনি একটি ভুয়া কাগজ করে আমাকে তালাক দিয়েছেন। সেখানে আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এ কারণে আমি পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমি ফেসবুকে এসব কথা বলেছি। আমি আমার সংসার করতে চাই আমার স্বামীর সঙ্গে।’তবে এমপি এনামুল হক বলেন, ‘আমার একসময়ে বিয়ের সম্পর্ক ছিল ওই নারীর সঙ্গে। এখন নাই। তাকে সম্পূর্ণ দেনমোহর পরিশোধ করেছি আমি। কিন্তু তারপরেও সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। আমিও আইনের আশ্রয় নিব।

আপনার মতামত লিখুন :