উপজেলাবাসীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, কলাপাড়ায় বালিয়াতলী খেয়াঘাটের সংস্কার কাজ চলছে

প্রকাশিত : ৩ জুন ২০২০

নয়নাভিরাম গাইন (নয়ন), কলাপাড়া : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী খেয়াঘাটের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। গত ১ মে সোমবার থেকে বালিয়াতলী খেয়াঘাটের পন্টুনের সিড়ির সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ঘাটের সংষ্কার কাজ করায় উপজেলাবাসী স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন গনমাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে বালিয়াতলী খেয়াঘাটের পন্টুনের সিড়ি জোয়ার ভাটার পানিতে ডুবে যাওয়া ও যাত্রীদের দূভোর্গের চিত্রসহ সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসলে ঘাটের সংষ্কার কাজ করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ এ খেয়া ঘাট দিয়ে কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়ত করে। দীর্ঘদিন ধরে এ ঘাটটি অবহেলিত ছিল। সামান্য জোয়ারের পানিতে ঘাটের পন্টুনের সিড়িটি তলিয়ে যেত। এতে সাধারন মানুষসহ অসুস্থ্য রোগী ও বয়বৃদ্ধদের চড়ম ভোগান্তিতে পরতে হতো। কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন গনমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে।

পরে তাদের উদ্যেগে ও সরকারি অর্থায়নে ঘাটের সংষ্কার কাজ শুরু হয়। লালুয়া ইউনিয়ন থেকে আগত একযাত্রী মো. জবির মাতব্বর বলেন, আগে আমাদের উপজেলা সদরে যেতে অনেক ভোগান্তী পোহাতে হত। আমাদের জোয়ার ও ভাটার সময় মাথায় রেখে উপজেলা সদরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হতো। এখন ঘাটের সংষ্কার কাজ করায় আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। এজন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এভাবে স্থানীয় প্রশাসন উপজেলার সকল ধরনের সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান দিবে বলেও আমরা আশা করছি।

বালিয়াতলী খেয়া ঘাটের ইজারাদার মো. মুসা হাওলাদার বলেন, এ ঘাটটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত থাকায় যাত্রীদের চড়ম ভোগান্তিতে পরতে হতো। সামান্য জোয়ার আসলেই ঘাটের পন্টুনের সিড়ি কোমড় সমান পানির নিচে তলিয়ে যেতো। ঘাটের দ্রুত সংষ্কার কাজ করায় স্থানীয় (পটুয়াখালী-৪) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মহিবুর রহমান (মুহিব) স্যার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বালিয়াতলী খেয়া ঘাটের পল্টুনের সিড়িটি অত্যান্ত লাজুক অবস্থায় ছিল। অধিকন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে আরো খারাপ হয়ে যায়। উপজেলার সাধারনের চলাচলের অসুবিধার কথা চিন্তুা করে এলজিআরডি,র অর্থায়নে আমরা ঘাটটি মেরামতের কাজে হাত দিয়েছি। ভবিষ্যতে উপজেলার যেকোন সমস্যার দ্রুত সমাধান দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

 

আপনার মতামত লিখুন :