সদর উপজেলায় প্রবেশ মুখেই খোলা কোচিং সেন্টারগুলো!

প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০২০

এম.রফিকুল্লাহ রিপন, নারায়ণগঞ্জ: মহামারী করোনা ভাইরাসের ফলে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ ঘোষনা করেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়। কয়েক ধাপে বন্ধ ঘোষনায় সর্বশেষ মন্ত্রনালয় থেকে বলা হয় যে ১৫ জুন পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এমন নির্দেশনা উপেক্ষা কওে প্রায় মাস খানেক পুর্বেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা সংলগ্ন কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের আশেপাশে গড়ে উঠা কোচিং সেন্টারগুলো খুলে কোচিং শুরু করেছে। শিক্ষার্থীদের কোন প্রকার সুরক্ষা নিশ্চিত করেই চালাচ্ছে উক্ত কোচিং সেন্টারগুলো।

সরেজমিনে সোমবার ( ১৫ জুন ) উপজেলা রোডের প্রবেশ মুখে রেডিয়্যান্ট কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক তুহিন তার ৩টি রুমেই কোচিং পড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। সামাজিক দুরত্ব বজায় তো দুরের কথা কোন কোন বেঞ্চে ৩জন শিক্ষার্থীকেও দেখা গিয়েছে। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোচিং সেন্টার খুলেছেন এমন প্রশ্ন করলে তুহিন বলেন, ৪ মাসের অফিস ভাড়া বকেয়া হয়ে গেছে,বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন কি করবো তাই কোচিং খুলেছি। সরকারতো করোনা ভাইরাসের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং বন্ধ করেছেন আপনি কেন খুলেছেন এমর প্রশ্নের জবাবে তুহিন বলেন, সরকারতো আমার অফিস ভাড়া দিবেনা। আমাকেই দিতে হবে তাই খুলেছি। পরে তিনি দ্রæত শিক্ষার্থীদেরকে বের করে দিয়ে কোচিং সেন্টার থেকে বেড়িয়ে যান। তবে স্থানীয়রা জানান,প্রতিদিনই সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখে এখানকার কোচিং সেন্টারগুলো।

রোড়ের উল্টো পাশে কাইউমপুরে দেখা যায়, একটি বাড়ির ভেতরে মাঝে পার্টিশন দিয়ে দুটি রুমে প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থীকে কোচিং করাচ্ছেন নিউটন নামে একটি কোচিং সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক রানা বলেন, কি করবো অনেকদিন বন্ধ থাকায় অবস্থা বেগতিক তাই কোচিংটি খুলেছি। তাছাড়া আমরাতো জানি ১৫ জুন থেকে সব কোচিং খোলা তাই পড়াচ্ছি। ছুটিতো আরো বাড়তে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাই আসলে আমরা জানিনা তবে এখনই কোচিং বন্ধ করে দিচ্ছি। সেখানে উপস্থিত থেকে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করা জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা রিসিভ করেনি।

 

আপনার মতামত লিখুন :