করোনাভাইরাস: রেড জোনে কঠোর হচ্ছে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস বা কোভডি-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের যেসব এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে ওইসব এলাকায় সরকারি নির্দেশাবলী যথাযথভাবে কার্যকর করতে সেনাবাহিনী নামছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেড জোনগুলোতে সরকারি নির্দেশাবলি যথাযথভাবে পালনের উদ্দেশ্যে সেনাটহল জোরদার করা হচ্ছে।

করোনা সংক্রমণের পরিস্তিতির ওপর ভিত্তি করে সরকার ঢাকাসহ সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করেছে। লাল ও হলুদ অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক ও অসামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি দফতরসমূহ এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দফতরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে।

সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৬ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত অফিস, গণপরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সেই বিষয়ে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

জোনভিত্তিক সিদ্ধান্তের আওতায় ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মোট ৪৫টি এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ এবং দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকা আছে।

ঢাকা উত্তর সিটি:

উত্তর সিটি করপোরেশনের যে ১৭ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো: বসুন্ধরা, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রায়েরবাজার, রাজাবাজার, উত্তরা, মিরপুর।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি:

দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকার মধ্যে আছে: যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরিবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড, সেগুনবাগিচা।

এদিকে সোমবার দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩০৯৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯০ হাজার ৬১৯ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২০৯ জনে।

সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৫ হাজার ৭৩৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৮টি নমুনা। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৫০৩টি। নতুন নমুনায় ৩০৯৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯০ হাজার ৬১৯ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২০৯ জনে।

আপনার মতামত লিখুন :