মোরেলগঞ্জে ক্লিনিক ব্যাবসা নিয়মবহির্ভুত ভাবে চলছে নেই কোন চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত নার্স, টেকনিশিয়ান: স্বাস্থ্য ঝুকিতে মানুষ

প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২০

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের বলভদ্রপুর এলাকায় চলছে নিয়মবর্হিভুত ভাবে ক্লিনিক ব্যাবসা। নেই কোন প্রশিক্ষিত নার্স, চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান, এনিয়ে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে সাধারন মানুষ। এলাকার কয়েকজন ব্যাক্তি মিলে এ প্রতিষ্ঠানটি চালালেও স্বাস্থ্যসেবার নামে চলছে অপচিকিৎসা এমনটাই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসি।

মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, করোনা কালীন সময়ে কোন রকম সুরক্ষা ছাড়াই চলছে জোড়াতালি দিয়ে স্বাস্থ্য ব্যাবসা। চিকিৎসা সেবা ও পরীক্ষা করানো হলেও নেই কোন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবাকর্মী বা নার্স। তিন জন রোগী ভর্তি থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী দেখা যায়নি কোন চিকিৎসক বা সেবিকা। সার্বক্ষনিক চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও নেই কোন চিকিৎসক, এব্যাপারে ক্লিনিক কর্তুপক্ষ কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। তবে তাদের কাগজে কলমে রয়েছে বলে জানান তারা। ম্যানেজার একজন চিকিৎসকের নাম বললেও ওই চিকিৎসক তা অস্বীকার করেন। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের এমডি পরিচয়দানকারী ঘের ব্যাবসায়ী উৎপল কুমার দাস অন্য এক চিকিৎসকের নাম বলেন। দুই জনের বক্তব্য ভিন্ন হওয়ার বিষয়ে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসি জানান, গ্রামীণ সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে করোনা কালীন সময়ে বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে এখানে অপারেশন করেন এবং মাঝে মধ্যে বাইরে থেকে চিকিৎসক এসে রোগী দেখেন। তবে নিয়মিত কোন চিকিৎসক নাই। এই করোনাকালীন সময়ে কোন রকমের সুরক্ষা ছাড়া যত্রতত্র রোগী দেখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ক্লিনিকের সাথে যুক্ত ম্যানেজার পরিচয়দানকারী বিষ্ণুপদ দাস জানান, বাধাল বাজারের মোরেলগঞ্জ অংশে গত এপ্রিল মাস থেকে গ্রামীণ সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক নামের এই প্রতিষ্টানটির যাত্রা শুরু হয়। এপর্যন্ত তারা ৪৪টি সিজার ও ৫টি এপেন্টিস অপারেশন করেছেন। এছাড়া ১০টি স্বাভাবিক ডেলিভারী করিয়েছেন। এই প্রতি‘ষ্ঠানে রক্ত, প্রসাব পরিক্ষাসহ নানান ধরনের পরিক্ষা করানো হয়।

ওই প্রতিষ্ঠানের এমডি পরিচয়দানকারী ঘের ব্যাবসায়ী উৎপল কুমার দাস বলেন, আমরা নতুন ক্লিনিকটি করেছি, এখনো নিয়মিত চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যসেবাকর্মী নিতে পারিনি, পরবর্তিতে নেয়া হবে।

বনগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রিপন দাস বলেন, আমি জেনেছি ওখানে একটি ক্লিনিক হয়েছে, তবে তার মধ্যে কি আছে তা আমি জানিনা। আমি চাই সরকারী নিয়ম মেনে ক্লিনিক পরিচালিত হোক। স্বাস্থ্যসেবার নামে অপচিকিৎসা কখনওই সমর্থন করতে পারিনা।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা.কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, নিয়মের বাইরে কোন ক্লিনিক চলতে পারবেনা, আমি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো। করোনাকালে স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়া মানুষদের স্বাস্থ্যসেবার নামে এধরনের ব্যাবসা পরিচালনার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ ব্যাবস্থা নিবেন বলে এলাকাবাসি আশা করেন।

আপনার মতামত লিখুন :