কলাপাড়া পৌর শহরে ড্রেন অব্যাবস্থাপনায় জলাবদ্ধতা: জন্ম হতে পারে ডেঙ্গু মশা

প্রকাশিত : ২৯ জুন ২০২০

নয়নাভিরাম গাইন ( নয়ন), কলাপাড়া : পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার ড্রেনের মুখ বন্দ হয়ে সামান্য বিষ্টি হলেই রাস্তার পাশে পানি আটকে তৈরী হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে এসকল স্থানে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব হওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রোডস এন্ড হাইওয়ে সড়কের উপর পানি জমে নর্দমায় পরিনত হয়েছে। হাইওয়ে সংলগ্ন রাডারের দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপর পানি জমে জলাবদ্ধতার মধ্যে জমে আছে বিভিন্ন ধরনের ময়লা ও আবর্জনা। এতে ফেলে রাখা হয়েছ প্রচুর ডাবের খোশা।

বিষ্টিতে ডাবের খোশায় পানি জমে জন্ম হতে পারে ডেঙ্গু মশা। রাডারের দক্ষিণ পাশ থেকে উত্তর পাশ পর্যন্ত ড্রেন নির্মান করা হলেও যথার্থ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে তাতে মাটি পরে বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের এতিম খানা হইতে রহমতপুর হয়ে চইয়াপাড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কটির পাশে বিভিন্ন পয়েন্ট খুব গভির করে ড্রেন নির্মান করা হলেও বিষ্টিতে সড়কের উপর পানি জমে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সড়কে খানাখন্দের সৃস্টি হয়ে অল্পতেই চলাচল অনুপযোগী হয়ে পরেছে। এ সড়কটিতে চলাচলরত যাত্রী, গাড়ির ড্রাইভার ও সড়কের পাশে স্থায়ী বসবাসরত বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ড্রেন নির্মানের পরে পাশে ফেলে রাখা মাটির কারনে রাস্তার উপর ঘাস জন্মে জঙ্গল তৈরী হয়ে ড্রেনের মুখ আটকে জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়। অতিদ্রুত এগুলোর সংষ্কার না করলে ডেঙ্গু মশার উপদ্রবে ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলে তারা মনে করছেন। শহরের বিভিন্ন এলাকায় একই অবস্থা দেখতে পাওয়া যায়।

শহরের বিভিন্ন জায়গায় যে জলাবদ্ধতা তৈরী হয় তা যদি বর্ষার সময় স্থায়ী হয় তবে তাতে এডিশ মশার লার্ভা থেকে প্রচুর ডেঙ্গু মশা জন্ম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার থেকে ডেঙ্গু মহমারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সচেতনমহল মনে করে পৌর বাসিকে জলাবদ্ধতা ও মহামারী ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে অচিরেই এসকল ড্রেনের মুখ ও রাস্তার ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে জলাবদ্ধতা মুক্ত করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। নচেৎ করনার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরী হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। পৌর মেয়রের নিকট পৌর বাসির প্রত্যাশা অচিরেই কলাপাড়া পৌর শহরকে জলাবদ্ধতা ও আবর্জনা মুক্ত পরিছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলবে।

এবিষয় কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, পৌরসভার পক্ষ হতে সপ্তাহে দুইবার শহরের প্রতিটি ড্রেন পরিষ্কার ও মশা নিধন ঔষধ স্প্রে করা হয়। তারপরেও কোন জলাবদ্ধতা তৈরী হলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

 

আপনার মতামত লিখুন :