মর্নিং বার্ড লঞ্চের যাত্রী আব্দুর রহমানের সপরিবারে মৃত্যুর কারণ বাড়িওয়ালার জোরজবরদস্তিই হওয়ায় দোষী বাড়িওয়ালার দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত : ১ জুলাই ২০২০

বাড়িওয়ালার জোরজবরদস্তিই বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চের যাত্রী আব্দুর রহমানের সপরিবারে মৃত্যুর কারণ দাবি করে দোষী বাড়িওয়ালাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তির দাবিতে আজ ১ জুলাই ২০২০ বুধবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে ভাড়াটিয়া পরিষদ।

মানববন্ধনে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চের যাত্রী মুন্সিগঞ্জ জেলার মিরকাদিমের আব্দুর রহমান পেশায় ঢাকা জজকোর্টের মুহুরি। পুরান ঢাকার কসাইটুলি এলাকায় তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এক রুমের বাসায় ভাড়া থাকতেন। করোনা ভাইরাসের কারণে গত মার্চ ২০২০ থেকে জর্জকোর্ট বন্ধ হয়ে যায়। আব্দুর রহমান তখনই পুরান ঢাকা ভাড়া বাসা ছেড়ে মুন্সিগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িওয়ালার দাবি জুন মাসের পর ছাড়তে হবে বাসা।

তাই বাড়িওয়ালার জোরজবরদস্তি ও বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়ায় তিনি ঘরের আসবাবপত্র রেখেই সপরিবারে গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম চলে যান। গত ২৯ জুন ২০২০ তিনি সপরিবারে ঢাকা ফিরছিলেন ভাড়া বাসা খালি করে রেখে যাওয়া আসবাবপত্র নেওয়ার জন্য। এরই মধ্যে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দূর্ঘটনা। নিহত হন আব্দুর রহমান, তার স্ত্রী-সন্তানসহ ৩২ জন যাত্রী।”

ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি সপরিবারে আব্দুর রহমানের মৃত্যুর জন্য বাড়িওয়ালাকে দায়ী করে বলেন, “আমরা বারবার বলে আসছি ঢাকা শহরের ভাড়াটিয়ারা বাড়িওয়ালাদের নির্যাতনের শিকার। কাউকে জোরপূর্বক বাসা ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে আবার কাউকে নতুন ভাড়াটিয়া না পাওয়া পর্যন্ত জোরপূর্বক ভাড়া থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। নিহত আব্দুর রহমানও বাড়িওয়ালার হুমকির কাছে নত স্বীকার করে জুন পর্যন্ত থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন।

যদি বাড়িওয়ালা তাকে থাকতে বাধ্য না করতে তাহলে হয়তো তিনি তার শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনার স্বীকার নাও হতে পারতেন। আমরা দোষী বাড়িওয়ালাকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। একই সাথে দূর্ঘটনায় দায়ী মূয়ুর-২ লঞ্চের চালক ও মালিককেও দ্রুত গ্রেফতার করা দাবি জানাচ্ছি এবং নিহত সকলের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।”

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, ভাড়াটিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ মোস্তফা, মোঃ শামীম, মাকসুদুর রহমান, আক্কাস আলী, দেলোয়ার আহমেদ জয়, সামান্তা, আলমগীর, মিলি প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন :