বেনাপোল দিয়ে রেলপথেও আমদানি-রফতানির পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার

প্রকাশিত : ১ জুলাই ২০২০

মোঃ রাসেল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার: মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে স্থলপথের পাশাপাশি রেলপথেও আমদানি-রফতানির পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এরইমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও নৌ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি আলোচনা হয়েছে। খুব দ্রুত তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

এদিকে রেলপথে বাণিজ্যের খবরে আশার সঞ্চার হয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রেলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে পণ্য পরিবহনে বড় ভূমিকা রাখবে। বাণিজ্য প্রসারের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন স্থলবন্দর কর্মকর্তারাও।

বুধবার (১ জুলাই) সকাল ১০ টায় বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বিষয়টি কুয়াকাটা নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘রেলপথে আমদানির পাশাপাশি রফতানি বাণিজ্য চালু হলে বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব অন্যান্য সব বন্দরের চাইতে আরও বেশি বেড়ে যাবে। এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও নৌ মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বন্দর ও কাস্টমসের মধ্যেও কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন খুব দ্রুত বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।’

বেনাপোল স্থলবন্দর আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, ‘প্রায় সময় হরতাল, অবরোধ ও শ্রমিক আন্দোলনে স্থলপথে পণ্য পরিবহনে বাধাগ্রস্ত হয়। রেলপথে সব ধরনের পণ্যও আমদানি-রফতানি চালু হলে এ সমস্যা থেকে ব্যবসায়ীরা রক্ষা পাবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে।’

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, করোনার মধ্যে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর গত ৭ জুন থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি বাণিজ্য কিছুটা স্বাভাবিক হলেও এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে রফতানি বাণিজ্য। এতে ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে প্রায় দুই শতাধিক ট্রাক রফতানি পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রোদ, বৃষ্টিতে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হচ্ছে তেমনি ব্যবসায়ীদের লোকসানের পাল্লাও ভারী হচ্ছে।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ অংশের ব্যবসায়ীরা স্থলপথে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে রফতানি বাণিজ্য সচলের জন্য বার বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। করোনা সংক্রমণের অজুহাত দেখিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ রফতানি পণ্য নিতে চাইছে না। অবশেষে রেল পথে আমদানির পাশাপাশি রফতানির পরিকল্পনা করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে ৬০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধার কারণে এ পথে আমদানির সাথে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে রফতানির পরিমাণ। এ বছর ১০ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভারতে রফতানি হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে স্থলপথের পাশাপাশি রেল পথে কিছু পণ্যের আমদানি বাণিজ্য সচল আছে। এখন যুক্ত হবে রফতানি বাণিজ্য।

আপনার মতামত লিখুন :