ফতুল্লায় চাচার শেল্টারে ভাতিজা সানীর রমরমা মাদক ব্যবসা

প্রকাশিত : ৬ জুলাই ২০২০

ফতুল্লায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী সানী ওরফে ভাতিজা সানী (২৫) বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সেহাচরের আক্কাছ আলীর ছেলে ও কথিত শ্রমিকলীগ নেতা শেখ মো. ইমান আলী ভাতিজা । সানী দীর্ঘনি ধরে ফেন্সিডিল, বিদেশী মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ মাদকের রমরমা পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ব্যবসাকে বিস্তার লাভ করার জন্য সানী একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে এলাকায় সাধারণ মানুষের উপড় নির্যাতন শুরু করেছে। এলাকার যারাই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সানীর বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকেই পুলিশ দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ী সানী নিরীহ লোকজনের বাড়িতে মাদকদ্রব্য রেখে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ফতুল্লায় টাকা হলেই হাতের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে গাঁজা, মদ, ইয়াবা, হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। মাদকের এ ভয়াবহ ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। ফতুল্লা সেহাচর এলাকায় মাক ব্যবসায়ী সানীর মাদক ব্যবসার কারনে ক্ষতি হচ্ছে নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা। মাদকের ছোবলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। অভিযোগ রয়েছে কথিত শ্রমিক লীগ নেতা শেখ মো. ইমান আলী ভাতিজা সানীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে মাদক ব্যবসার শেল্টার দেয়ায় বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা সেহাচর বড়বাড়ী বদরা পুকুরপার, হাজীবাড়ীর মোড়, উকিল বাড়ী মাঠ, লালখাঁ, পুরান ক্যালিক্স স্কুলের পাশে, ইয়াদ আলী মসজিদসহ আশপাশের এলাকায় স্যালসম্যান দিয়ে মাদক বিক্রি করে আসছে। এছাড়াও সন্ত্রাসী সানী সেহাচর হাজীবাড়ী মোড় এলাকায় মো. নূরুল আবছার শাহীন এর লিজকৃত সম্পত্তিতে আসিয়া সাইনবোর্ড স্থাপন করে। এ ঘটনায় নুরুল আবছার শাহিন গত ১১/৩/২০২০ ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন যাহান নং- ৬২২।

এর পর থেকে সানী গং (জিডি) তুলার জন্য বিভিন্ন সময় নূরুল আবছার শাহীনকে হুমকি দিয়ে আসছে, জিডি না তুলা হলে যেকোন সময় বড় ধরনের ক্ষতি করবে সানী ।এর ২ মাসপর আবারও সানী, খোকন শিকদারসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন এসে নূরুল আবছার শাহীন এর লিজকৃত সম্পত্তিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে মাছ ধরতে বাধা প্রধান করলে সানীসহ তার লবল ক্ষিপ্ত হয়ে প্রান নাশের হুমকি য়ে।এ ঘটনায় ৫/৫/২০২০ তারিখে আরো একটি ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন যাহান নং- ১৩৫

এ ব্যাপারে নূরুল আবছার শাহীন বলেন, ইমান আলী শ্রমিকলীগ নেতা পলাশের রাজনীতি করে সেই সাইনবোর্ড লাগিয়ে এলাকায় অপোকর্ম করে যাচ্ছে। তার ভাতিজা সানিসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী আমার জায়গা খল করতে আসে আমি তারে বাধা দিলে সানী বলে যা বুঝার আমার ইমান চাচার সাথে বুঝেন। পরবর্তিতে আমি ইমান আলীর বাসায় গেলে ইমান আলী বলে আমরা এলাকার পোলা আমরা রাজনিতি করি আমরা এলাকায় ক্ষমতা না দেখালে কি বাহিরের মানুষ ক্ষমতা দেখাবে। পরবর্তিতে তার কাছে কোন সঠিক উত্তর না পেয়ে চলে আসি। এর কিছু দিন পর ইমান আলী আমার কেয়াটেকার লিটনকে মারধর করে আমি বিষয় টি জানতে পেরে ঢাকা থেকে এসে ইমান আলীকে বলি কেনো লিটনকে মারধর করলো। একই কথা বলে যে আমারা এলাকার ছেলে রাজনীতি করি পোলাপান চালাতে টাকা পয়সা লাগে এই জায়গার খামারের মাছ আমরা ধরবো।শাহিন বলেন দেশের অবস্থা খারাপ করোনার কারনে আমি কোর্টে মামলা করতে পারছিনা থানায় ২টি (জিডি)করেছি কোর্ট চালু হলে ইমান আলী তার ভাতিজা সানী সহ অজ্ঞাত নামা যাদের নাম জানিনা তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা করবো।

শেখ মো. ইমান আলী বলেন, আমার ভাতিজা সানী মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত না। হয়তো কোনো বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে শত্রুতাবসত এই ছবি তুলেছে। আমার এবং আমার ভাতিজার মান সম্মান নষ্ট করার জন্য। নূরুল আবছার শাহীন এর জায়গা খর করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন। আমি তারে চিনিনা কেনইবা জায়গা দখল করতে যাবো। পরে তার ভাতিজা সানীসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি হয়ে এই কথা বলার পর তিনি বলেন হ্যা আমার কাছে নূরুল আবছার শাহীন আসছিলো, কিন্তু এটা সরকারি লিজকৃত জায়গা আমি কেনো দখল করতে যাবো। কেয়ারটেকার লিটন কে মারধরের বিষয় জানতে চাইলে বলেন। আমি লিটনকে কোন মারধর করি নাই।

 

আপনার মতামত লিখুন :