৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে ৩৪ লাখ এখনো টাকা পায়নি

প্রকাশিত : ৮ জুলাই ২০২০

দেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধনের প্রায় ২ মাস হতে চলল। এসময়ের মধ্যে টাকা পেয়েছেন ১৬ লাখ ১৬ হাজার ৩৫৬ জন। আর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৩১ জনের টাকা। বাকি প্রায় ৩২ লাখ পরিবার কতদিনে টাকা পাবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। ৫০ লাখ পরিবারের জন্য ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা দুই মাস আগেই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। টাকা পৌঁছানোর খরচের জন্যও বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮ কোটি টাকা। গেল ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টাকা দেয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা যায়, তথ্যে অসঙ্গতি রয়েছে ২২ লাখ ৮৬ হাজার ৫২৮ জনের। বাদ দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২শ’ জনকে। তালিকায় সরকারি কর্মচারী রয়েছেন ৩ হাজারের মতো আর পেনশনভোগী রয়েছেন ৭ হাজারের মতো। ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র রয়েছে এমন ব্যক্তি ৫৫৭ জন আর নতুন করে করতে হবে ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ জনের তালিকা। ১ লাখের বেশি, যারা ইতোমধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আর্থিক সুবিধা ভোগ করছেন। প্রায় ৩ লাখকে একাধিকবার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তথ্য যাচাই করে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০০ জনকে বাদ দেয়া হয়েছে।

মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা না থাকলে ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা পাওয়ার সুবিধা:

তালিকাভুক্ত যাদের মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা নেই তারাও পাবেন সরকারের দেয়া আড়াই হাজার টাকার নগদ অর্থ সহায়তা। তারা সহজে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সুবিধা ভোগ করতে পারেন এজন্য নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শুরুতে পুরো অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনায় ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যাংকের মাধ্যমে সুবিধা নেয়ার সুযোগ দিয়েছে সরকার।

করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তা দেয়ার কথা রয়েছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (মোবাইল ব্যাংকিং) মাধ্যমে। এজন্য নগদ ১৭ লাখ, বিকাশ ১৫ লাখ, রকেট ১০ লাখ এবং শিওরক্যাশ ৮ লাখ পরিবারে টাকা পৌঁছানোর দায়িত্ব পায়।

এসব অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করতে সোমবার (৬ জুলাই) ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যায়নের ভিত্তিতে অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে, কোন উপকারভোগী আগে থেকে ব্যাংকের হিসাবধারী হলে তার নতুন করে ব্যাংক হিসাব খোলার প্রয়োজন নেই। চেক বই না থাকলে ডেবিট ভাউচারের মাধ্যমে এধরনের উপকারভোগীকে অর্থ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

আপনার মতামত লিখুন :