প্রাথমিকে প্যানেল চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

প্রকাশিত : ১২ জুলাই ২০২০

অদ্য ১২/০৭/২০২০ তারিখে সকাল ১১ টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ২০১৪ স্থগিত (২০১৮) সালে অনুষ্ঠিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্যানেল প্রত্যাশীদের ২৬ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক সালেহা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আকতারউজ্জামান, মহুয়া আক্তার, আমেনা আক্তার, ফাতেমা আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস, পাপড়ী, রুপ্তি বিশ^াস, মুন্নি আক্তার, ইয়াসমিন পপি, আকলিমা আক্তার, আফরোজা আক্তার, রাফিয়া, জিয়াছমিন, তানিয়া, মাহফুজা, নাজনীন, হাসিনা আক্তার, জাকির হোসেন রিয়াদ, মুঈন উদ্দিন, দীলিপ বিশ^াস, সালাহউদ্দিন, সোহেল, সালেহ, আলমগীর, শরিফুল, মাহফুজ।

প্রতিনিধি দল মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে স্মারকলিপি অবিকল কপি স্ব-স্ব দপ্তরে প্রদান করা হলো।

২০১৪ স্থগিত ২০১৮ অনুষ্ঠিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগ বঞ্চিত ১৯৭৮৮ জন প্রার্থী। পূর্ববর্তী দুটি পুল ও প্যানেলের মাধ্যমে ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের মামলা জটিলতার কারণে ২০১৪ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ৪ বছরের জন্য স্থগিত ছিল এবং ২০১৮ সালের অক্টোবরে যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তখন শূন্যপদ পূরণ না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৯৫৫৫ জন প্রার্থী যেখানে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ। মোট পাশের হার ছিল ২.৩%। এদের মধ্যে চুড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয় ৯৭৬৭ জন।

বিপুল সংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে নিয়াগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পরীক্ষাটি ৪ বছর স্থগিত থাকার কারণে প্রায় ৯০% প্রার্থীর চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হয় এই ৯০% প্রার্থী। ২০১৪ সালের প্যানেল প্রত্যাশীদের সংখ্যা বর্তমানে খুব বেশী নয়। যারা ইতিমধ্যে অনেকেই অন্যান্য চাকরীতে কর্মরত আছে।

বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা ৬০,০০০ করোনাকালে তীব্র শিক্ষক সংকট মোকাবিলা করার পাশাপাশি যোগ্য ও বঞ্চিত প্রার্থীদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক।

 

আপনার মতামত লিখুন :