রাজাপুরে দেড় কিলোমিটার কর্দমাক্ত রাস্তায় শিক্ষার্থীসহ ২ শতাধিক পরিবারের চরম ভোগান্তি!

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই ২০২০

রহিম রেজা, ঝালকাঠি থেকে: ঝালকাঠির রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দেড় কিলোমিটার রাস্তা বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয় দুই শতাধিক পরিবারের লোকজনের চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে জানা গেছে, বছর খানেক আগে মাটির কাজ সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত পাকাকরনের কোন উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্ষা মৌসুমে কাদা ও পিচ্ছিল হওয়ায় এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের লোকজনের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এ কারনে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি এলাকাবাসীর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এ রাস্তা দিয়ে কয়েকটি স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী চলাচল করে। কিন্তু বর্ষার সময় রাস্তায় কাদা হওয়ায় ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। এছাড়া রোগী, শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন সময় মালপত্র বহন করতে গিয়ে পা পিছলে ছিটকে পড়ে আহত হয়েছে অনেকে। সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ হানিফ জানান, সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশের পিচঢাল রাস্তার সংযোগ থেকে এন.ডবিøউ লেবুবুনিয়া এইচ. টি. আই দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন খালের পূর্ব পাড়ের শুরু করে উত্তর দিকে দেড় কিলোমিটার দুরত্বে নৈকাঠি পালের বাড়ি এলাকায় অন্য একটি পিচঢালা রাস্তার সাথে মিলিত হয়েছে।

বৃষ্টির মৌসুমে রাস্তাটি কাদায় পিচ্ছিল হওয়ায় ওই এলাকার প্রায় দুইশত পরিবারের এক শতাধিক শিশু শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৫ শতাধিক লোকের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এমনকি বৃৃষ্টির মৌসুমে অনেক শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার পথে পা পিচলে পড়ে গিয়ে বই-খাতা কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়ে যায় এবং বোঝা বহন কারিদের পড়ে গিয়ে বোঝা ছিটকে পড়ে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। ওই এলাকার কোন লোক রাতের বেলা অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে রাতে যাওয়া সম্ভবই না তারপর দিনের বেলায়ও ডাক্তারের কাছে যেতে চরম কষ্ট পেতে হয়। তিনি আরো জানান, ওই রাস্তাটি পাকাকরনের ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই বলে পরিষদের পক্ষ থেকে কোন উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি। রাস্তাটি পাকা করনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন :