ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন নাসিমা সুলতানা

প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০২০

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কিছু নেতাকে নিয়ে জেকেজির সাবরিনা ও তাঁর স্বামী আরিফুল হক চাপ প্রয়োগ করে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন বাগিয়ে নিয়েছিল। তাদের চাপে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ অনুমতি দেয়। ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন অধিদফতরের বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। বুধবার (২২ জুলাই) বিকেলে ডিবির একটি দল সদ্য পদত্যাগ করা মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও এডিজি অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

করোনা মোকাবিলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী-পিপিই, মাস্ক সরবরাহে অনিয়মসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে তাদের দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে বলেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেছেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কিছু নেতাকে নিয়ে জেকেজির সাবরিনা ও তাঁর স্বামী আরিফুল হক এসে করোনার পরীক্ষার জন্য তাঁদের চাপ দেন। সেই চাপের মুখে জেকেজিকে করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অনুমতিপত্র সংবলিত ফাইল ডিবিকে দেখাতে পারেননি।

ডিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গিয়ে পদত্যাগী মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে পাওয়া যায়নি। তাঁকে পরে মিন্টো রোডে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদিকে, স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ কয়েকজনকে বদলি করা হয়েছে। পদত্যাগ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আমিনুল হাসানকে সরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ডিজি (আবুল কালাম আজাদ) পদত্যাগ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী এটা জনপ্রশাসনে গেছে। জনপ্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী পদক্ষেপ তারা কী নেবে। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরীক্ষার নামে জেকেজি হাসপাতাল ও রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার পর দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিরা আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা ও রিজেন্টের চেয়ারম্যান শাহেদসহ সংশ্লিষ্টরা এখনো কারাগারে রয়েছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :