ময়মনসিংহে ছাত্রীকে কোচিংয়ে ধর্ষণ চেষ্টাকালে শিক্ষক ধরা

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০২০

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়ে বিয়ের প্রলোভনে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর ফের দু’মাস পর ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে পড়ানোর নামে ধর্ষণের চেষ্টাকালে চিৎকারে ধরা খেলেন দুই সন্তানের জনক সেই শিক্ষক ধর্ষক বেলায়েত হোসেন (২৮)। পরে স্থানীয়রা তাকে (বেলায়েত হোসেন) ধরে পুলিশে সোপর্দ করলে থানায় মামলার পর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

মামলা ও স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ বাজারের একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পড়াতেন পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার চরমছলন্দর ইউনিয়নের নেদিয়ারচর ভাটিপাড়া গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে দুই সন্তানের জনক বেলায়েত হোসেন।

ওই কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে যেতো নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের মহেষকুড়া গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫)। পড়ানোর ফাঁকে শিক্ষক বেলায়েত হোসেন প্রেমের প্রলোভনে ফেলে ওই ছাত্রীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরই একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে গত প্রায় দুই মাস আগে সংশ্লিষ্ট কোচিং সেন্টারের একটি কক্ষে বেলায়েত ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি শিক্ষক বেলায়েতকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে পরে ঘটনাটি প্রকাশ না করতে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দেন শিক্ষক বেলায়েত হোসেন। পরে মেয়েটি আত্মহত্যার হুমকি দিলে খুব দ্রুতই তাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বস্ত করেন বেলায়েত।

এদিকে গত বুধবার (২২ জুলাই) রাতে শিক্ষক বেলায়েত হোসেন নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের মহেষকুড়া গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে পড়ানোর নামে ফের ধর্ষণের চেষ্টাকালে ছাত্রীর চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী এসে বেলায়েতকে ধরে পুলিশকে খবর পাঠান। তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জনতার হাত থেকে বেলায়েত হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে এ ব্যাপারে নান্দাইল মডেল থানায় মামলার পর তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহম্মদ জানান, ‘পুলিশ ওই স্থানে গিয়ে জনতার হাতে আটক শিক্ষক বেলায়েত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মামলার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।’

আপনার মতামত লিখুন :