ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের এক এসআই ও কনস্টেবলসহ ৪ জনকে আটক

প্রকাশিত : ২৭ জুলাই ২০২০

সাভারের আশুলিয়া এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের এক এসআই ও কনস্টেবলসহ ৪ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র‌্যাব। এসময় ডাকাতিরকাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, ওয়াকিটকি, একটি মাইক্রোবাস ও হ্যান্ডকাপ জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে জাল টাকা ও মাদক। এ ঘটনায় পুলিশের এক এসআই ও কনস্টেবলকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় চারটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৭ জুলাই) সকালে র‌্যাব-৪ এর (সিপিসি-২) এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার জমির উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানায়, গত ২২ জুলাই রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার নিগার প্লাজার ফার্মেসি ব্যবসায়ী নূর উদ্দীনের দোকানে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদা দাবি করেন একদল দুর্বৃত্ত। এসময় ওই ব্যবসায়ীকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৬৩ হাজার টাকা চাঁদা নেয় ডিবি পুলিশ পরিচয় দানকারীরা। পরে ২৬ জুলাই আরো ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে ভয় দেখিয়ে চলে যায় তারা। র‌্যাব আরো জানায়, পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৬ জুলাই রাতে জামগড়া এলাকায় আবারো ডিবি পুলিশ দাবিকৃত বাকি চাঁদার টাকা জন্য আসলে খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি ও চাঁদা আদায়কালে আশুলিয়া থানা পুলিশের মমিনুর রহমান নামে এক কনস্টেবলসহ চার জনকে আটক করা হয়।

এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পুলিশের স্টিকার লাগানোর একটি নোহা মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ-১৩-৩৬৪১), চারটি রাম দা, একটি হ্যান্ড কাফ ও একটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়। একই সাথে উদ্ধার করা হয় ৩৭ হাজার টাকার জালনোট, ১৯০ পিস ইয়াবা বড়ি, ৪৮০ গ্রাম গাঁজা, ১৬টি এটিএম কার্ড, নগদ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা ও ১২টি মোবাইল ফোন।

র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ নবীনগর শাখার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার জমির উদ্দিন আহমেদ জানান, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি ও চাঁদাবাজির ঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় ভুক্তভোগী নূর ইসলাম বাদী হয়ে দুটি মামলা (নং-৯৭ ও ৯৮) দায়ের করেছেন। এছাড়া মাদক ও জালটাকা রাখার অপরাধে র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ শাখার এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আরো দুটি মামলা (নং-৯৯ ও ১০০) দায়ের করেছেন। জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, চাঁদাবাজির মামলায় আশুলিয়া থানার এসআই সাজ্জাদুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। তার ব্যক্তিগত পুলিশ স্টিকার সাটানো সাদা নোহা মাইক্রোবাসটি এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু তার থানার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি ‘যা-তা’ ঘটনা উল্লেখ করে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দেবেন না বলে জানান।

আপনার মতামত লিখুন :