মহিপুর থানার ওসির অপসারণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২০

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মহিপুর থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামানের অপসারণের দাবীতে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব’র সভাপতিত্বে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি আঞ্চলিক দৈনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদে লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লাকে জড়িয়ে মহিপুর থানার ওসি ও কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলামের ইন্ধনে যেসব কথা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে একটি কুচক্রি মহল সংবাদ কর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে উক্ত সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। দুর্নীতিবাজ মহিপুর থানার ওসি ও বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম খানের ষড়যন্ত্রের শিকার জনপ্রিয় নেতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আমরা লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

চাঁদাবাজী, মাসোয়ারা আদায়, ভূমি দস্যুতা, টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া, মাদক সিন্ডিকেট পরিচালনা এবং সালিশ বাণিজ্যের কথা বলা হলেও যার পুরোটাই মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। লিখিত বক্তব্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুল ইসলাম খান উদ্দেশ্যমূলক চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত ওই সংবাদে মানহানীকর বক্তব্য দিয়েছেন। বরং জহিরুল ইসলাম খান প্রতিবন্ধী তিন কন্যার পিতা মোঃ আনোয়ার ফিটারের জমির অধিগ্রহণের টাকা ও জমি আত্মসাতের প্রচেষ্টা করেছেন। এছাড়াও তার জমি নিয়ে রাখাইনদের সাথে আদালতে মামলা চলমান, যার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বিজ্ঞ আদালত চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব অর্পন করেছেন। তাতে জহিরুল ইসলাম খান ঈর্ষান্বিত হয়ে চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে মানহানীকর বক্তব্য প্রদান করেছেন। সেখানে চেয়ারম্যানের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ্য থেকে জহিরুল ইসলাম খানের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তার মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করছি।

তিনি বলেন, বিএনপি জোট সরকারের আমলে জহিরুল ইসলাম খান আমার বসত ভিটার জমি জবর দখলের অপচেষ্টা করেছিল। অন্যের জমি জবর দখল করা তার একটা নেশা ও পেশায় পরিনত হয়েছে। অপরদিকে তার জমাজমি নিয়ে কোথাও কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে সেখানে কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের নাম ব্যবহার করে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যেটা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য শুভকর নয়।

এছাড়া চেয়ারম্যানকে নিয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানের ভাষ্যে সালিশ বাণিজ্যের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ওসি মনিরুজ্জামান থানা ভবনের নিচতলায় প্রতিনিয়ত সালিশ বাণিজ্য নিয়ে বসেন। যা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এবং এ বিষয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্ত চলমান আছে। ওসির অন্যায় ও অপকর্মের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে চেয়ারম্যানের বক্তব্য থাকার কারণে তিনি উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা তথ্য সরবারহ করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন। ওসির অন্যায় অপকর্ম আড়াল করতে সুকৌশলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তাই লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষে দ্রæত সময়ের মধ্যে ওসি’র অপসারণ দাবী করছি। অন্যথায় এলাকার সাধারণ মানুষ দিন দিন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়বে এবং গোটা পুলিশ প্রশাসনের উপর জনসাধারণের ভ্রান্ত ধারণা দৃষ্টি হবে বলে ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান বিশ্বাস সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ কুয়াকাটা ও মহিপুর প্রেসক্লাব’র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :