আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট ২০২৩ সালের মধ্যে উৎক্ষেপণের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ইতোমধ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের অন্যতম অর্জন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ। যার ফলে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট ক্লাবের ৫৭তম গর্বিত সদস্যে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।মোস্তাফা জব্বার জানান, দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট কী ধরনের হবে এবং এর মাধ্যমে কী কী ধরনের সেবা প্রদান করা হবে তা নির্ধারণের জন্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা ও আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। ‘স্পেস এক্স’ এর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী যান ফ্যালকন-৯ এর সর্বশেষ সংস্করণ ব্লক-৫ বুস্টার এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের স্বত্বাধিকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর অবস্থান ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার কক্ষপথে। এর ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত।

এ কৃত্রিম উপগ্রহ নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের সার্বিক কার্যক্রম ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্থ বিটিআরসি-এর প্রকল্প ‘একটি যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ প্রাকপ্রস্তুতি ও তদারকি প্রকল্প’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে জাতির এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। উৎক্ষেপণ পরবর্তী বিক্রয়, বিপণন পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গঠিত হয় বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)।