সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় গৃহবধু দুই সন্তানের জননী রুজিনা বেগম (৩৫) কে মারধরের খবর পাওয়া গেছে। রুজিনা বেগম হচ্ছেন উপজেলার গলাচিপা সদর ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের ছলেমান হাওলাদারের স্ত্রী।
ঘটনাসূত্রে ও রুজিনা বেগম জানান, আমি ৫ মাসের অন্ত্যসত্তা। সোমবার রাত অনুমান সাড়ে ১০ টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে উঠানে বসে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় চড়াও হয়ে রাসেল, রিপন, ছালাম একত্রিত হয়ে রুজিনা বেগমকে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি, থাপ্পর, লাথি দিতে থাকলে রুজিনা বেগম চিৎকার করলে এলাকাবাসী এসে পড়লে মারধরকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী রুজিনা বেগমকে উদ্ধার করে ওই রাতেই গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেজবাহউদ্দিন বলেন, রুজিনার শরীরের শরীরে ফুলা জখমের চিহ্ন আছে এবং বুকে চোট লেগেছে। আমার চিকিৎসাধীনে ২য় তলায় ৫নং বেডে ভর্তি আছে। এ বিষয় নিয়ে রুজিনা বেগমের স্বামী ছলেমান হাওলাদার বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধী। ঠিকমত হাঁটতে পারি না।
আমার মায়ের কথায় আমার ভাইয়েরা আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। আমার ভাইয়েরা আইন কানুন কিছুই মানে না। গায়ের জোরে চলে। তাদেরকে কিছু বলা যায় না। আমার স্ত্রীকে কিছু না বলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এলোপাথারীভাবে মেরেছে। আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসন মহলের কাছে বিচার চাই। এ বিষয় নিয়ে রাসেল, রিপন, ছালামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে জান।
ইউপি সদস্য হিরন প্যাদা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। চৌকিদার পাঠিয়ে দুই পক্ষকে ডেকে ইউনিয়ন পরিষদে মীমাংসার ব্যবস্থা করব। গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।