মুন্সীগঞ্জ জেলায় বন্যার পানি কমছে কিন্তু বাড়ছে দুর্ভোগ

প্রকাশিত : ৬ আগস্ট ২০২০

মুন্সীগঞ্জ জেলায় বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও নদী ভাঙন এবং ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া মানুষ চরম কষ্টে আছেন। অনেক মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্র এবং উঁচু সড়কে অবস্থান করছেন। ত্রাণ সহায়তাও অপ্রতুল। খাবার পানির সংকট রয়েছে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে। বন্যা কবলিত এলাকায় স্যানিটেশন ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ-বালাই। এছাড়া নদী ভাঙন নতুন সংকট তৈরি করছে। মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ভাগ্যকুল পয়েন্টে পানি ৬ সেন্টিমিটার ও মাওয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে যেটুকু কমছে, তাতে বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হচ্ছে না। পানি বিপৎসীমার অনেক ওপরেই আছে এখনো। যে কারণে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও মাঠঘাটে এখনো আছে বন্যার পানি।

মঙ্গলবার বিকালে মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিবার্হী প্রকৌশলী টিএম রাশেদুল হাসান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ভাগ্যকুল পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া মাওয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হচ্ছে না। পদ্মা নদীবেষ্টিত অঞ্চলগুলো এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ছয় উপজেলার ৪৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। ওই ইউনিয়ন গুলোর ৩১৯টি গ্রামের ৪২ হাজার ৫৮৩টি পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। এরমধ্যে ছয়টি উপজেলায় ৮১টি আশ্রয়কেন্দ্রে মাত্র ৩৪৩টি বানভাসি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দ্বীপক কুমার রায় বলেন, এ পর্যন্ত বানভাসি পরিবারদের সহায়তায় ৫৩৭ মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার ৫’শ বন্যার্ত পরিবারের জন্য শুকনো খাবার, শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা ও গো-খাদ্যের জন্য ১১ লাখ টাকা ও জিআর ক্যাশ হিসাবে ৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সিরাজদিখান উপজেলায় ভাঙ্গনের মুখে মসজিদ বাড়িঘড়সহ অসংখ্য স্থাপনা ধলেশ্বরী নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়ে ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ী, স্কুল, মাদ্রাসা, পাকা-কাঁচা সড়কসহ কয়েকশ একর ফসলি জমি। গত কয়েকদিনের ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে সিরাজদিখান ইসলামপুর গাবরপাড়া গ্রামের মসজিদ বাড়িঘড়সহ অসংখ্য স্থাপনা।

আপনার মতামত লিখুন :