নেত্রকোনার হাওরে ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত ১২জনের দাফন সম্পন্ন

প্রকাশিত : ৬ আগস্ট ২০২০

ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনার মদনে হাওরে বেড়াতে গিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত ১২ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকাল সোয়া ৬টার দিকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কোণাপাড়া ঈদগাহ মাঠে একসাথে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ট্রলারডুবিতে মৃত মোশাররফের বাবার দান করা জমিতে সবাইকে সমাহিত করা হয়। অসংখ্য মানুষ এ জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় শোকে স্তব্ধ পুরো গ্রাম। এ দুর্ঘটনায় ১৮ জনের মধ্যে একই পরিবারের আট জনসহ ১৬ জনই ময়মনসিংহ সদর উপজেলার। বাকি দু’জনের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরে।

বুধবার ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। রাজালীকান্দার অদূরে ইউসুফ আহমেদ নামের এক ব্যক্তির বাড়ির পেছনে আসা বন্যার পানিতে ভেসে উঠলে স্থানীয়রা মরদেহ অবস্থায় উদ্ধার করেন। বুধবার দুপুরে নেত্রকোনার মদন উপজেলার পর্যটন খ্যাত উচিতপুরে বেড়াতে গিয়ে গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নে রাজালি কান্দা হাওরে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহসহ নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘুরতে আসে নানা বয়সী মানুষ। আর একই পরিবারের বেশকিছু মানুষসহ ৪৮ জন পর্যটক ট্রলারে উঠে হাওরে যান। ট্রলারটিতে ২৫/৩০ জনের ধারণক্ষমতা ছিল। সেই জায়গায় অতিরিক্ত যাত্রী মোট ৪৮ জনকে বহন করে। হাওরে প্রচণ্ড ঢেউ ও বাতাসে ট্রলারের ছাদে থাকা যাত্রীরা অতিরিক্ত নড়াচড়ায় করায় কাত হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি ডুবে যায়।

এসময় পানিতে তলিয়ে যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৩০ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ থাকেন ১৮ জন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বুধবারই অভিযান চালিয়ে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। বৃস্পতিবার সকালে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই পরিবারের ৮ জন রয়েছেন। জানা গেছে, ৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ৬ শিশু রয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :