গাইবান্ধায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ঠাঁই না পেয়ে রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত ঘরে সন্তান প্রসব করলেন এক প্রসূতি। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নবজাতকসহ মাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। জীবনের প্রথম মুহূর্তে পরম যত্নে মায়ের কোলে থাকার কথা থাকলেও এই নবজাতকের ক্ষেত্রে বাস্তবতা পুরো ভিন্ন।
স্বাস্থ্যকর্মীর অমানবিক আচরণে, বাস্তার পাশে পরিত্যক্ত ঘরেই আলোর মুখ দেখলো শিশুটি। স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রসব বেদনা উঠলে গাইবান্ধার ফুলছড়ির বোনারপাড়া থেকে অন্তঃসত্ত্বা জেমি আক্তারকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যান তারা। হাসপাতালে পৌঁছার পর সেখানের পরিদর্শিকা সেলিনা বেগম অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীকে নিয়ে অন্যত্র যেতে বলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও কর্ণপাত না করে উল্টো গালমন্দ করে বের করে দেয়া হয় তাদের।
পরে শহরের ডিবি রোডের পাশে পরিত্যক্ত ঘরে মেয়ে সন্তান প্রসব করেন ওই প্রসূতি। ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিছে। চড়ও মারছে। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযোগিতায় অসুস্থ অবস্থায় মা ও শিশুকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, আমরা তাদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করি। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি।
এখন মা-মেয়ে দুজনই ভালো আছে। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ার ভয়ে তাকে ভর্তি করা হয়নি বলে জানান মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শিকা সেলিনা বেগম। গত এপ্রিলেও গাইবান্ধার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে এমন আরেকটি অমানবিক ঘটনা ঘটে।