লাল হলুদ শাড়ি আর খোপায় ফুল, রঙিন সাজে বাদ্যের তালে নেচে-গেয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায় উদযাপন করে তাদের সবচেয়ে বড় পার্বণ কারাম উৎসব। নওগাঁর মান্দায় বর্ণাঢ্য এ উৎসব উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা। অপসংস্কৃতির বেড়াজাল থেকে বের হয়ে নিজেদের ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ আয়োজন।
দুপুর থেকেই নেচে গেয়ে আসতে শুরু করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারীপুরুষ। ঢোল মাদল আর মন্দিরার শব্দের সাথে দলবদ্ধ নৃত্য। ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠির নিজস্ব ভাষায় গাওয়া গান আর ছন্দময় নাচে অংশ নেয় তরুণ, তরুণী, আবাল বৃদ্ধারা।সমতল ভূমির ১৭টি জাতিসত্ত্বার সবচে বড় পার্বন কারাম উৎসব। আর এ উৎসবে নেচে গেয়ে নিজেদের ঐতিহ্য বুধবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে তুলে ধরেন নওগাঁর মান্দার কালিসফা মাঠে।
তরুণীরা লাল হলুদ শাড়ি আর খোপায় বাহারি ফুল গুঁজে তরুণদের সাথে মেতে উঠে নৃত্যে। আলতা মাখা পায়ে নুপুরের ঝংকারে সাথে হাতে হাত রেখে ফুটিয়ে তোলা হয় ঐতিহ্যবাহী নৃত্য। কার্তিকের বিকেলে বৈচিত্র্য ভরা এমন উৎসব দেখতে ঢল নামে নানা শ্রেণী পেশার মানুষের। দর্শনার্থীর ভিড়ে ভরে যায় মাঠের চারপাশ। ক্ষণিক বিনোদনের এমন উৎসবে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।
তারা বলেন, দেখে খুব ভালো লাগলো। আগে এমন দেখি নি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই এই আয়োজনের লক্ষ্য বলে জানান আয়োজকরা। এ প্রসঙ্গে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রুমিতা পাহান বলেন, আমরা আমাদের ধর্মটাকে তুলে ধরার জন্য এ আয়োজনটি করেছি। জেলার ৬টি উপজেলা থেকে কারাম উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করে ১০ টি দল।