কলাপাড়ায় পালিত হয়েছে খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন

প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর ২০২০

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা আর ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। শুক্রবার সামাজিক দূরত্ব মেনে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামে খ্রিষ্টান পল্লীতে এ দিনটি উদযাপিত হয়। মহামারি করোনা থেকে দেশবাসিকে মুক্তিসহ অতীতের সকল পাপ মোচনের জন্য যিশুর কাছে প্রার্থনা করেন ভক্তরা। এ দিনটি উপলক্ষে চার্চ ও গীর্জা গুলো সাজজিয়েছে নতুন সাজে। বাইবেল পাঠসহ আলোচনা করা হয় যিশু খ্রিষ্টের জীবনী সম্পর্কে।

আলোচনা শেষে ভক্তদের মাঝে বিভিন্ন রকমের খাবার পরিবেশনসহ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীরা।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সূত্রে জানা যায়, খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট এদিনেই অলৌকিকভাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাদের বিশ্বাস যিশু খ্রিস্ট মানুষের রূপ ধরে পৃথিবীতে এসেছিলেন সব পাপ থেকে মুক্তি দিতে আর মানবিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করতে। তার এই আগমনকে স্মরণ করে খ্রিস্টানরা শ্রদ্ধা ভালোবাসায় বিশ্বব্যাপী তাকে স্মরণ করেন ও জাকজমকপূর্ণভাবে দিনটি উদযাপন করেন। বড়দিন উপলক্ষে কেক তৈরি ও বিশেষ খাবারেরও আয়োজন করা হয়েছে। দিনভর কীর্তনের পাশাপাশি বসানো হয়েছে ধর্মীয় গানের আসর। তবে বড়দিন ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সকলের জন্য আনন্দ বার্তা বয়ে আসুক এই কামনা করেছেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন।

প্রজ্ঞা বিশ্বাস বলেন, এই দিনটি আমাদের বিশেষ দিন। তাই ঘরে বাহারী পিঠা পুুলি বানানো হয়েছে। এছাড়া সকালে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা সহ সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। শোভন বিশ্বাস বলেন, করোনা থেকে দেশবাসী মুক্তির আশায় গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা এবং বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গির্জা ও এর আশপাশে রঙিন বাতি জ্বালানো ও প্রচুর জরি লাগিয়ে গির্জার ভেতর সুসজ্জিত করা হয়। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সদরপুর খ্রিস্টান পল্লীর চার্চ ইনচার্জ ফ্রান্সিস বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস। ২৫শে ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মের দিনে এই উৎসবটি পালিত হয়।

এখানে চারটি গির্জায় শান্তিপূর্ন পরিবেশে আমাদের ঈশ^র যিশুর জন্ম দিন, বড়দিন পালিত হয়েছে। আর প্রার্থানা করা হয়েছে মহামারি থেকে মুক্তিসহ অতীতের সকল পাচ মোচনের। কলাপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বড় দিন উপলক্ষে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে খ্রিস্টান পল্লীর গির্জা গুলোতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :