বগুড়ায় এএসপিকে বিয়ের ৭ দিন পর জানলেন সে আসলে বাদামওয়ালা

প্রকাশিত : ২৬ জুন ২০২১

বগুড়া সদরের পলাশবাড়ি গ্রামে পুলিশের এএসপি পরিচয়ে কলেজছাত্রীকে বিয়ের ঘটনায় আবদুল আলিম (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রীর বাবা সদর থানায় মামলা করেন। পরে আলিমকে গ্রেফতার করে শুক্রবার (২৫ জুন) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। আবদুল আলিম গাজীপুর সদরের কামারজুরী গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে। তিনি বাদাম বিক্রেতা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, মোবাইল ফোনের ভুল নম্বরে মহাস্থান মাহীসাওয়ার ডিগ্রি কলেজের ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় আলিমের। নিজেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের মোল্লাপাড়ার মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে ও রংপুরে কর্মরত পুলিশের এএসপি রাসেল মিয়া বলে পরিচয় দেয়। ঢাকায় চারতলা বাড়ি ও পরিবারের সদস্যরা কোটিপতি এসব বলে ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে। ছাত্রীকে বিশ্বাস করানোর জন্য পুলিশের পোশাকে কলেজেও এসেছিলো। একপর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ছাত্রীর পরিবার রাজি হয়।

গত ১৮ জুন তাদের বিয়ে হয়। গত সাত দিন ধরে ছাত্রীর বাড়িতে অবস্থান করছেন আলিম। বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রীকে জোর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে চাইলে স্বজনদের সন্দেহ হয়। তখন স্বজনরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, আলিম বাদাম বিক্রেতা। সঙ্গে সঙ্গে সদর থানায় খবর দিলে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। রাতেই ছাত্রীর বাবা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন কলেজছাত্রীর বাবা। এ ঘটনায় শুক্রবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ছাত্রী। বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আবদুল আলিমকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :