গলাচিপায় তিন বছরেও আলোর মুখ দেখেনি মা ও শিশু হাসপাতাল

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০২১

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় এখনো আলোর মুখ দেখেনি মা ও শিশু কল্যান হাসপাতালটি। নির্মানের তিন বছর পার হলেও এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি হাসপাতালটির। হাসপাতালের ভবন আছে, প্রয়োজনীয় পরিমাণ আসবাবপত্র আছে, প্রচুর রোগীও আছে, চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবনও আছে কিন্তু নেই শুধু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। এ অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নে স্থাপিত একমাত্র মা ও শিশু হাসপাতাল। একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, একজন পাহারাদার ও ঝাড়ুদার দিয়ে চলছে এ হাসপাতালের কার্যক্রম।

অথচ ১০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতালটির অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়েছে তিন বছর আগে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেয়নি কোনো চিকিৎসক, সেবিকা, টেকনিশিয়ানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সরেজমিন দেখা গেছে, এখানে বসবাস ও বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা ফেরদৌসী বেগম। তিনি জানান, এখানে কমসংখ্যক লোকজন থাকায় অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। অবশ্য একজন নৈশপ্রহরী ও সুইপার এখানে কর্মরত রয়েছেন। এদিকে গলাচিপা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানান, সরকারি বিধি অনুযায়ী একজন মেডিকেল অফিসার, টেকনিশিয়ান, সেবিকা নিয়োগ দেয়ার নিয়ম রয়েছে। এ নিয়োগ দেয়ার দায়িত্ব রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের দফতরের।

কী কারণে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না, তা আমার জানা নেই। তিনি আরও জানান, ওই মা ও শিশু হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এখনও সরবরাহ করা হয়নি। এ ব্যাপারে পানপট্টি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, দুই বছর আগে ভবনসহ সব অবকাঠামো নির্মাণ হলেও নেই চিকিৎসক, চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল। চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার মা ও শিশু হাসপাতালটি নির্মাণ করেছে কিন্তু সরকারের সে উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে। গরিব সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসাসেবা থেকে। তিনি জানান, এ চিকিৎসাসেবা সুবিধা বিশেষ করে সিজারিয়ান করার ব্যবস্থা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেই। এজন্য যেতে হয় জেলা সদর পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। যা সাধারণ গরিব মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।

আপনার মতামত লিখুন :