বাল্যবিয়ে মুক্ত বাগেরহাট জেলায় করোনাকালে আশংকা জনক হারে বেড়েছে বাল্যবিয়ে। জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যে শুধু সরকারি হিসেবে জেলায় ৯টি উপজেলায় ৩ হাজার ২০২ জন শিক্ষার্থী বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে। বেশি বাল্যবিয়ে হয়েছে কচুয়া উপজেলায় এর পরের অবস্থানে রয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলা। নাগরিক সমাজ বলছে বাল্যবিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর জেলা প্রশাসন বলছে, তথ্য সংগ্রহ করে বাল্যবিয়ের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাগেরহাটের বাল্যবিয়ে বেশী হওয়া উপজেলা কচুয়ার শহীদ আসাদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার। বিজ্ঞান বিভাগের তার রোল নম্বর এক। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পাওয়া এই মেধাবী শিক্ষার্থী স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া করে ডাক্তার হওয়ার। তানিয়ার এই স্বপ্নের অপমৃত্যু হয়েছে। করোনাকালে বাল্যবিয়ের স্বীকার হয়েছে তানিয়া। তানিয়া এখন শ্বশুর বাড়ীতে ঘর-সংসার করছে। এমনই অবস্থা জেলার অন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বল্যবিয়ের শিকার হওয়া মেয়ে শিশুদের। শহীদ আসাদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন, গজালিয়া রহমানিয়া দাখিল মাদ্রসার ৫৫ জন ও বাগেরহাট শহরের জাহানাবাদ বালিকা বিদ্যালয়ের ১৮ শিক্ষার্থী করোনার দেড় বছরে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।
এসব স্কুল খুললেও অনেক শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়ে স্কুলে না আসায় প্রাণ ফেরেনি ক্লাসে। করোনায় আর্থিক অনটন, সামাজিক নিরাপত্তার অভাব ও অভীভাবকদের সচেতনার অভাবে জেলার মাধ্যমিক স্তরের ৫২২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ২০২ জন ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার। তারা এখন আর ক্লাশে আসছে না। বাল্যবিয়ের পর স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অনেকে সংসার করতে না পেরে ফিরে এসেছে বাবার বাড়িতে।