অভিনেতা ড. ইনামুল হক আর নেই

প্রকাশিত : ১১ অক্টোবর ২০২১

নাট্য ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষক ড. ইনামুল হক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। সোমবার দুপুরে হঠাৎ করে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ড. ইনামুল হক। পরে ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ খ্যাতিমান নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন নাট্যকার মাসুম রেজা। নাট্যজগতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১২ সালে একুশে পদক লাভ করেন ড. ইনামুল হক। নাট্যকার হিসেবে ড. ইনামুল হকের পথচলা শুরু ১৯৬৮ সালে। প্রথম লেখা নাটকের নাম ‘অনেকদিনের একদিন’। টেলিভিশনের জন্য ৬০টির মতো নাটক লিখেছেন তিনি। তার লেখা আলোচিত টিভি নাটকের মধ্যে রয়েছে সেইসব দিনগুলি, নির্জন সৈকতে ও কে বা আপন কে বা পর।

মঞ্চের জন্য প্রথম নাটক লেখা নাটকের নাম ‘বিবাহ উৎসব’। এটি লিখেছিলেন উদীচীর জন্যে। তার নিজ দল নাগরিক নাট্যাঙ্গনের জন্য প্রথম লেখা নাটকের নাম ‘গৃহবাসী’। মঞ্চ ও টেলিভিশনে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন ড. ইনামুল হক।১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনী সদরের মটবী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন ড. ইনামুল হক। বাবার নাম ওবায়দুল হক ও মা রাজিয়া খাতুন।

ফেনী পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে তিনি অনার্স ও এমএসসি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি লাভ করেন ড. ইনামুল হক। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দীর্ঘ ৪৩ বছর শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত থাকার সময় ১৫ বছর রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং দুই বছর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ড. ইনামুল হকের পুরো পরিবারই নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। তার দাম্পত্য সঙ্গী বরেণ্য নাট্যজন লাকী ইনাম। তাদের সংসারে দুই মেয়ে হৃদি হক (স্বামী লিটু আনাম) আর প্রৈতি হক (স্বামী সাজু খাদেম)। সোমবার বিকেল নাগাদ ইনামুল হকের মৃত্যুর খবর প্রচার হতেই তার সহকর্মীদের অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন।

 

আপনার মতামত লিখুন :